হাইবুন
ঈশিতা ভাদুড়ী
অন্ধকারনামা
অন্ধকার আসলে নৈঃশব্দ্য আর অমার্জিত স্তব্ধতার সূত্রপাত, যেখান থেকে গোপন ক্ষতের সৃষ্টি। অন্ধকার আসলে ভেসে যাওয়া হ্যারিকেন জীবনের কথা, যেখানে বেড়ে ওঠে শূন্যতা ক্রমে ক্রমে। অন্ধকার আসলে এক নিঃসঙ্গ উপত্যকার গদ্য, যেখানে প্রতিদিন মরে যাচ্ছে অজস্র ঘাসফুল।
ফাঁকগুলোতে
শূন্যতা ভীষণ
হৃদয়ে বাজে
অনিশ্চিত
ফাইনাল শব্দ অস্পষ্ট ভীষণ।মূলত ‘চূড়ান্ত’ বলে কোনো শব্দই নেই। জীবনভর ‘নিশ্চিত’ শব্দটিরও তো কোনো নির্দিষ্ট ঠিকানা নেই। উথালপাতাল জলে ভেসে যায় সব কিছু। উন্মাদ হাওয়ায় উড়ে যায় চন্দনগন্ধ।দূরের জোনাকি, উত্তাল ঢেউ, ভন্ডুল রাত সবাই-ই স্থান বদলায়। মৃত্যুর আগে অবধি সবকিছুই অস্থায়ী এবং অনিশ্চিত, আবছা অন্ধকার অথবা জ্যোৎস্না রাতও।
মৃত্যু মানে
অনুপস্থিতি আর
ফোটো ফ্রেম
রঙিন ফানুস
যদিও পেছন দিকে ঘুরলেই মস্ত বড় ভয়েড, আর, সামনে সমুদ্রের অতল জলরাশি। যদিও এসবের মধ্যিখানে আমি, বিশালাকার প্রশ্নচিহ্নের মতন। তবু্ও একেকদিন চাঁদ এসে পড়ে বিছানায়। যে ডুবুরি-জীবন বয়ে চলি প্রতিদিন, যে চাপা-দীর্ঘশ্বাস ঘর জুড়ে, যে কুটোর মতন ভেসে মরা, আর, যে অস্পষ্ট কুয়াশায় মিলিয়ে যাওয়া, যে ছিন্নভিন্ন বেঁচে থাকা, সেসবের বাইরেও কোনো কোনো দিন বেজে ওঠে শ্যামাসংগীত। সেইসব দিন আকাশে রঙিন ফানুস ওড়ে। সেইসব দিনে সবুজ সন্ধের নির্মাণ।
নীলাভ নদী
আর মায়া-স্বপ্নে
ভাসছে রাত