সৌরভ মজুমদার -এর কবিতা
দহ
এ’টুকুই সাধ্য, উজানে নিজেকে রাখা
দ্রব, বিষ গ্রাহ্য
ঘটমান ধ্বনি জিজ্ঞাসা, আকুল, ওফোঁড়-এফোঁড়, ষড়ঙ্গ
খাঁ খাঁ পড়ে আছে
বালিময় ছায়ার মেঘের মতো, আদিগন্ত
বারণ-সংহিতা, ছোট, বড় ঢেউ নিয়ে, লাবণ রাবণ
অভিপ্রায় ফিরিবার, বাস্তবিক কলহকাজল মোহনায়
দরদিয়া…
খোঁজ
খুঁজিতেছ বলিরেখা — ‘কেন গান, কেন লেখা, কেন এত কথা’ !
যে মানসে খাদ জমে আলায় আলায়
দেহলিজ পারে দেহ যায় মনের না-চাওয়ায়
‘আমি’র সদনে গিয়ে যে মন খুঁজেছে লোকায়তে
আতিপাতি জন্মের কারণ বিন্যাস ও গতি
সে মানস তেমনই পায় যাত্রাবিরতি, হারাবার
যোজনপথ, স্বর বর্ণ স্রোতঃধারা স্বেদ
রাধাভাবে খালি পা’য়
যার পদার্পণ অযোনিসম্ভব সংসার গতে
স্লথতায়, ব্যথাতুর জয়দেব, অজেয় বিমূর্ত
অপমানে, টুকরো টুকরো বিম্বিত দেবতা
আমি তার সহাস্য সখেদ লিখে চলে যাই
এপিফ্যানি
এতকিছুর পরেও…
যত্নে লিখি তোমাকেই, নিজের শীতের ঘাস
শাদার নিচে এখনও সবুজ
রোদে, আদরে রেখেছি জল
ছেড়ে যাওয়া চাদর, চটি, টুথ-ব্রাশ
লিখি আর জ্বলি, জল দিই, ধুই, মুছি
এইসম্বল, ভিতরে গুছিয়ে রাখি
আমাদের যাবতীয় দর্পণ-সমূহ, জলাঞ্জলি
এক এক দিন, ভূত চাপে,
মানুষ খোঁজার ভূত।
মধু মিতা হয়ে, বনানী ঘেঁষে, সৌম্য সিমান্ত পেরিয়ে, দেব এর আষীশ নিয়ে
কোথায় যেন পৌছে যায়….
একটুখানি আশ্বাস আর অনেক খানি বিশ্বাস (অবশ্যই বোকার মত) পুজিঁ করে।
অলক্ষ্যে হাহাকার বিধাতার
লোপামুদ্রা থেকে উপালি,তানিয়া থেকে শঙ্করী,
সেই ছবিটীর শকুনের মত অপেক্ষা এ….
Social media সৌরভীত