
আফগান মেয়েদের কবিতা
অনুবাদ – ঈশিতা ভাদুড়ী
আফগান মেয়েদের জন্যে... সেই সব বাধা-নিষেধের দিনে শত শত আফগান মেয়েদের স্কুলে যাওয়া বাধা ছিল যখন, তাদের বিষ দেওয়া হতো, এবং তাদের মুখে অ্যাসিড নিক্ষেপ করা হতো, তাদের হত্যা করা হতো, তাদের স্কুল পুড়িয়ে দেওয়া হতো। তাদের অপহরণ করা হতো বা হুমকি দেওয়া হতো। ফলত অনেকেই স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিতো, কিন্তু লক্ষ লক্ষ বালিকা/ কিশোরী ভাঙা বিল্ডিং, তাঁবু, এবং উন্মুক্ত মাঠকে ‘স্কুল’ জেনেছে এবং সাহসের সঙ্গে লেখাপড়ার জন্যে এগিয়ে গেছে। শুধু কিশোরী বা বালিকা নয়, সমস্ত আফগান মেয়েদেরই যাবতীয় অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে বারংবার। নিচের এইসব কবিতা তাদের জন্যে লেখা। যদিও কিছু সময়ের জন্যে তাদের লড়াই তাদেরকে স্বাভাবিক জীবনযাপনে কিছুটা জায়গা দিতে সাহায্য করেছিল। কিন্তু আজকের আফগানিস্তান তাদের এই লড়াইকে অনেক পেছনে ফেলে দিল। আজ ২০২১-এ পুনরায় আফগান মেয়েরা বোরখার নিচে, অন্ধকার কুঠরীতে…
আফগানিস্তানের মেয়ে
শিরিন জাহরা
আমি বসন্তের মতো।
কুসুমিত চুল আমার,
আমার হৃদয় রোদে উজ্জ্বল,
আমার দৃষ্টি পরিষ্কার,
আমার পা শক্তিতে ভরপুর এবং
আমার হাত শুভেচ্ছায় ভরা,
আমি একজন আফগান মেয়ে।
না বেশি, না কম, সমতা চাই আমরা
নেগিন বাডাখ্শ
উপাস্য কোরো না আমাকে সসম্ভ্রমে,
এবং বানিও না শিকল-বিনুনি আমার সুশোভন চুলে,
পিঞ্জরে বন্দি কোরো না আমাকে, বা, আমার জীবন তিক্ত,
এবং খাঁচার কোণে রেখোনা মিষ্টান্ন।
আফগানিস্তানের বিদ্যার্থীদের জন্যে
মারওয়া সুভান
তারা বিষ পাঠায়, কখনও কখনও ছুরি,
আগুন দেয় তারা, আর, কখনও কখনও জাহান্নম,
আমার স্বদেশের মেয়েদের জন্যে,
বসন্ত নিয়ে আসে তারা, অথচ ভস্মে ভরা।
নেগিন বাডাখশের কবিতাটিকে কী বলবো – অনুনয়, আবেদন না আর্তি! সমস্ত প্রাণ যেন আহা আহা করে ওঠে।
এই আফগান মেয়েরা সব দেশের মুক্তিকামী নারীদের হৃদয়ের ভগিনী বা সোল সিস্টার। আগামী এদের হোক, এদের জয় হোক!
জয় খুব মুশকিল। পথ ভীষণ দুর্গম।
বিষণ্ণ করে দেয়
তাই তো