
শুদ্ধেন্দু চক্রবর্তী
নির্বাসন গীত
এক গজদন্তশোভিত রথ থেকে নেমে এলেন মহাভাগ
তাঁর বাজুবন্ধে নররক্তচিহ্নিত খড়্গ
দেখামাত্র বোধোদয় হল। বুঝলাম ইনিই যুগাবতার
ইনিই নববর্ষে নব্যদিগন্ত দেখাবেন পীড়িতদের
ইনিই সেই বীর, যার দর্প কান্নাকাতর মিনতিতেও স্তব্ধ হয় না
আলপথ থেকে রাজপথ ব্যাপী তাঁর সেই মহামহিম যাত্রামুহূর্তে
পথপ্রান্তে পড়ে আছি নিথর হয়ে
তৃষ্ণা ক্ষুধা মিশে যাচ্ছে শোকস্তব্ধ শস্যক্ষেতে
বীরদর্পে ভেসে আসা বিজয়ধ্বনিতে কেঁপে উঠছে প্রার্থনাগৃহ
অদ্য আগত প্রেমপত্র ধুলোয় সন্ধ্যার রঙ নিচ্ছে
আমার হাত কলম তুলে নিতে পারছে না
কলমের নিব বেয়ে চুঁইয়ে চুঁইয়ে গড়িয়ে পড়ছে ফোঁটা ফোঁটা রক্ত
বৈশাখ আবাহনের দিন আমি নিঃসঙ্গ যশোর রোডের ধারে
একা একা নির্বাসন গীত গেয়ে চলেছি
আমার বন্দনা
গ্রহণ করবেন কি হে দর্পনারায়ণ?