
অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়
উপোসি বাংলার কবিতা- বাষট্টি
ঋণ. রূপসী বাংলার কবি, জীবনানন্দ দাশ
মেঠোইঁদুরের চোখ ডাকিছে তক্ষক জোনাকজ্বলা-আভা, অন্ধকার
সুন্দরী-অরণ্যে বাঘিনী হানা দিল বাতাসে পাশবিক গন্ধ তার—
এরূপ ‘চিত্রমালা’ কত না দেখিয়াছি আজিকে নয়, সে তো গতজনম
মনে হয় তারপর বিকেল-নিভে-গেছে মাটির পৃথিবীতে শতবছর…
প্রখর-দুপুরে-ঘেমে ব্যাঙ্কে-এটিএমে পেনশনের-প্রেমে ক্ষুৎচয়ন
হারায়ে গিয়েছে সেই সরল-প্রান্তর; সুনীল-আকাশের ‘মুক্তমন’
এইখানে কারখানা বাষ্প-ধুলো-ধোঁয়া… হাঁপির টান আর আয়ুক্ষয়…
তুখোড়-লোকেরা-ঘোরে স্মার্টফোনের মতো; বর্ষাকালে ভেক ভাবুক হয়…
গৃহমাঝে বউমার ‘মূকাভিনয়’; নাতি ‘ভ্রু-কুঞ্চিত’; ছেলে ‘নিদ্রাদাস’;
উথালপাথাল-স্রোত উজান-সংসারে… বাতিঘরের ডাক: বৃদ্ধাবাস
ঘুরিতেছে ‘মায়া’ হ’য়ে মাথাগোঁজার-ঠাঁই: থাকব? চলে যাব? টানাপোড়েন
বাঘেরা-সার্কাসের পারে না গর্জাতে— গিয়েছে দিক-ভুলে বাদাবনের—
বাক্স-স্মৃতিকাঠের: লুকিয়ে-রাখি-চাবি কাউকে করব না ‘তবিলদার’
স্মৃতি-সম্পদ ছাড়া বৃদ্ধ-মানুষের কীই বা থাকে বলো? ‘হরিদ্বার’?