সোহেল ইসলাম-এর কবিতা
ভ্রমণ বৃত্তান্ত
১.
বালিশের তলায় এ ভ্রমণের টিকিট লুকিয়ে রাখব,কাউকে দেখাব না।হোঁচট খেয়ে পড়ে যাওয়াটা রাখব কলপাড়ে,আর গল্পগুলো পুঁতে দেব উঠোনের কোণে।মাঝে মাঝে জল দিও,আমি মাটি দেব গোড়ায়,পাতাবাহারের এর বেশি পরিচর্যা লাগে না।
২.
বাড়ির কোণে একটা গাছ জেগে উঠেছে।মাঠের সিঁথিতে জেগে উঠেছে পথ। পথে কৃষকবউ জলখাবার নিয়ে রওনা দিয়েছে আমাদের অন্ধকার মুছে দেবে বলে।আমি অন্ধকারের গায়ে আঙুল বুলিয়ে দেখি ― বিশ্বাস ঠিকঠাক আছে কিনা ?
৩.
একটা সকাল জেগে উঠতে যাচ্ছিল যেই,দরজায় টোকা পড়ল।গ্রীষ্মের ছুটি এসেছে পায়ে মাটি নিয়ে, অবিকল তোমার মতো দেখতে। পকেট থেকে ট্রেনের টিকিট উঁকি মারছে,পাশ থেকে উঁকি মারছে বোতাম।আমরা আর ফিরব না,মুখের ওপর বলে দেওয়া উচিত ছিল,পারিনি, রাইকিশোরী।
৪.
একটা ঠিকানা পেলে,কেউ তা ছাড়তে চায় না।একটা সিঁদুরের কৌটো আরেকটা সিঁদুরের কৌটোকে বলছে,একটা আয়না বলছে আরেকটা আয়নাকে।অথচ বিছানার চাদর,বাথরুমের তোয়ালে,সাবানের ফেনা,পাতাবাহারের পাতা কেউ কিছুই বলছে না।যারা আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাস পর্যন্ত চেনে,তারা কেন চুপ,কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখি ― কীর্তনে মাতোয়ারা আল্পনার কোজাগরী।
অপূর্ব!
ভালোবাসা নিও পলাশদা
খুব ভালো লাগলো