
সোনালী ঘোষ-এর কবিতা
অতিথি নিবাস
১.
স্থির হয়ে আছে জল।হে বান্ধবজন যন্ত্রনা যেমনই হোক মনে হয় খুব কাছে আলো জ্বেলে মা…ইশারায় কত কথা যেন অভিমানহীন একটি সন্ধে।রামপ্রসাদ ও গাইছেন গান।ভোলানাথ ভিক্ষাপাত্র নিয়ে দাওয়ায়, চোখে তার টলটলে জল…
২.
লক্ষ তারায় পুরেছ রূপ তাই ফোঁপানো বাঁশিতে ফুঁ দিলেই বারুদ।নিভৃত উষ্ণতা জানে চোরাবালি মুহুর্ত। বিন্দু বিন্দু জমে আছে জল।ভালোবাসার ভিতর এ কার শ্রীঠোঁটের জীবাশ্ম?জানি, চোখ ফুটবেই একদিন। সেদিন আদর দিয়ে বিচ্ছেদ নিও শেষ গোধূলির মত।
৩.
দুঃখ কাছে এসে বসলেই ধীর হয়ে আসে বাতাস, মাথা নিচু করে হেঁটে যায়।চাওয়া পাওয়া শেষ হয়ে আসে। গা থেকে সরিয়ে দেই সব আলোয়ান।তোমাকে হয় নি বলা,এত শূন্যতা নিয়ে ভেসে থাকা যায় না।বারেবারে ফিরে আসে সত্য।এইটুকু তুমি ছাড়া কিছু নেই আর….
৪
চিনেছি ভিতরে ঠিকরে পড়া আলো।তার কাছাকাছি থাকি। যেন ঈশ্বর।ফুল ফোটে আর লাফ দেয় আয়ু রঙা প্রজাপতি। চোখ বুজি। মৃত্যু ও হাসে। দেখতে দেখতে নক্ষত্র খসে যায় কত।আমিও অতন্দ্র, অমলতাস বাতাসে দেখি কত মোহিনী মায়া…
৫.
শেষটুকু রেখে যাব তোমার কাছে, এই তো নিয়তি বলো। রাস্তা সবই একমুখী। ফিরে আর আসে না কেউ। মন যে পথিক, তাই সোনার হরিণ চায় না। আঁধার ও মানায় না তাকে।তাই মুখ ধুতে গেলে পুকুরের জল থেকে উঠে আসে চাঁদ।