সুরজিৎ বেরার কবিতা
বিক্রম প্রতাপ সিং
তুমি তো তেজী।
দর্পে এগিয়ে চলেছো নিজস্ব গতিতে,
আবেগে ঝলসে দিচ্ছো দুর্ভেদ্য জাল।
সন্তর্পণের শেষ টোকায়
নাচিয়ে দিচ্ছো সকল অনুরাগী বিরাগীদের
চেষ্টায় চেষ্টায় তোমার এতদূর আসা
আমি তো সামান্য লিখিয়ে।
আমি চাই, আমার সমস্ত লেখা
তোমার শেষ টোকার মতন কবিতা হয়ে উঠুক।
জয়শ্রী ও ১৫ দিনের প্রেম
বন্ধুদের মুখে শুনি তোমার কথা।
ছেলে খুঁজছো, বিয়ে করবে, সেটেল হবে;
সরকারি চাকরিওয়ালা ছেলে।
বন্ধুদের মুখে শুনি…
অথচ আমি যে তোমায় কতবার
বিয়ের ইচ্ছে প্রকাশ করে পালাতে চেয়েছি!
অগ্রাহ্য করেছো, পালাতে তোমার ভয় করে।
বুঝেছি,
সরকারি আধিকারিকগণ—
ভয়ে টেবিলের তলায় লুকিয়ে পড়লেও
পালাতে পারেনা। ভয় করে
পঞ্জিকা
‘দুঃখের রাত্রি কেন বড় হয়?’
এ-কথা জানতে চেয়েছি বাংলা পঞ্জিকার কাছে।
এমন সময়—
গাছেরা কেন কথা বলা বন্ধ করে দেয়?
কেন হাওয়া নিস্তব্ধ হয়?
কেন নদীর স্রোত
নিশাচর কুয়াশার কাছে সমর্পিত?
কেন অন্ধরাস্তার পাশে কুকুরেরা চুপ করে থাকে,
কেন গুটিসুটি মেরে
খড়গাদির ভিতর খুঁজতে চায় শরীরী তাপ?
রাতদুপুরে, এসব জানতে চাই
বাংলা পঞ্জিকার কাছে।
পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা—
বার, তিথি, নক্ষত্র, যোগ, করণ…
মাঝে মাঝে ঘুমে ঢলে পড়ি, পৃষ্ঠা—
বিছানার মতো সম্ভাষণ জানায়।
প্রার্থণাসভার মতো গ্রহ-নক্ষত্রপুঞ্জের
অক্ষর ফুল হয়ে ফুটে ওঠে।
রাত্রি কেন ফুলের কাছে স্বর্গ খোঁজে!
কেন প্রেমের অপরাধ বোধ ঘসড়ে ঘসড়ে যায়
অতীত পোড়ানো ধোঁয়ায়!
জানতে চাই বাংলা পঞ্জিকার কাছে,
নিকষ-কালো হৃদয়-গ্রামীণ সমাজে
শীতের রাত্রি কেন দুঃখের হয়?