প্রসূন ভৌমিকের কবিতা
পূজা
প্রচণ্ড মন্দির গড়ো, ঘণ্টাধ্বনি বাজো ঘটা করে
কপালে ধ্বংসের ফেট্টি, গাত্রদাহে স্বেদবিন্দু দ্বেষ
খাদ্যে যত পুষ্টিগুণ পাকস্থলি ঘণ্ট পাকিয়েছে
রক্তনালিকাতে ফুটছে কালো বাষ্প, জিঘাংসার তাপ
ছোবল যে পারে না তারও বাক্যে ফোঁসে সর্বনাশা বিষ
শব্দ তার মারণাস্ত্র, দংশনে বৃক্ষের রং নীল
যে যার দেবতা দেবী দিব্যি কেটে ধর্ম সংস্থাপনে
অমৃতে গরলভাণ্ড, চলকে পড়ে মিষ্টান্নে আমিষ
ফুলে রক্তদাগ লাগা, প্রণামিতে হিরণ্য পিপাসা
নীলকণ্ঠ জটা ছেড়ে ভয়ে ভয়ে পালিয়েছে সাপ
মতভেদে চাকু মারছে, পুজো দিচ্ছে মৃত্যুকামনায়
সভ্যতার আদিগন্তে হন্তারক আত্মঘাতী ভাষা
আড়ালে বিভেদ লিখে শাসনব্যবস্থা পূজারীর
মন্দিরে দেবতা কই? দেখি শুধু পাণ্ডার প্রতাপ।
খেলা ভাঙার খেলা
১
গোয়েন্দাদের সতর্কতা ছিল
গণহত্যা রুখতেই পারতে
দেশের প্রতিরক্ষা সেনানীকে
ভাতে মারলে, হাতেও মারতে
হাত কাঁপেনি, গেরুয়া রাস্কেল?
২
তুমি যে আজ অবনঠাকুরের
‘ভারতমাতা’ জয়ধ্বনি দিয়ে
দেশদ্রোহী সন্ধানে দাও পুজো
মায়ের পুণ্য ঝান্ডা কাঁধে নিয়ে
হিংসা, ভোট আর বাণিজ্যে ত্রিভুজও
তোমার খেলা সবাই বুঝছে
প্রেমচন্দ হিন্দি বোঝেন, ইকবাল উর্দু
বীরসা এবং তিলকা মাঝির দেশ…
খেলা ভাঙার খেলা কবিগুরুর
ভালোবাসায় পোড়াব বিদ্বেষ!