স্রোত <br /> পর্ব-১১ <br />  যশোধরা রায়চৌধুরী

স্রোত
পর্ব-১১
যশোধরা রায়চৌধুরী

২০১৩-১৪। কলকাতার এক বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছেলেমেয়ে তৈরি করে একটা নতুন প্রবণতা। কয়েকটি মেয়ে স্যানিটারি ন্যাপকিনকে পোস্টার হিসেবে ব্যবহার করে তোলপাড় তুলে দেয়৷ এরা সব কেমন মেয়ে? কী চাইছে এরা? এই সব নিয়ে ও বাঙালি মধ্যবিত্তের ভুবনায়িত মূল্যবোধ নিয়েই "স্রোত"৷ গ্রন্থাকারে 'স্রোত' নাম দিয়ে একটি অতি সীমিত প্রকাশনা প্রচেষ্টাও হয়েছিল। তবে প্রকাশক সব কপিশুদ্ধু গায়েব হয়ে যাওয়াতে, স্রোতকে পরিবর্ধিত ও পরিমার্জিত আকারে এবার আবহমানের পাঠকদের কাছে ধারাবাহিকভাবে হাজির করার প্রচেষ্টা । "সম্পূর্ণ ভাবে নারীর দৃষ্টিকোণ থেকে লেখা এমন উপন্যাস আমি আগে পড়িনি। নারীবাদী লেখকের লেখা উপন্যাস পড়েছি। কিন্তু তাতে পুরুষের লোলুপতা কে কাঠগড়ায় দাঁড়করানো আর নারীকে শিকার প্রতিপন্ন করার চেষ্টায় প্রায়শই অবজেকট্ভিটি থাকেনি। এই উপন্যাসের শিকড় গেছে নারী জীবন যাপনের নানা স্তরে । এর মধ্যে আছে যে ভাষায় পুরুষতন্ত্র জীবনের ন্যারেটিভ এমনকি সাহিত্য ও রচনা করে , তার ইন্টারপ্রিটেশন। এতে স্পষ্ট কথা আছে, অভিমান আছে, হাস্যরস এবং অসহায়তাও আছে । এবং সর্বোপরি পুরুষকে নিজের জীবনে জড়িয়ে নেওয়ার আকাঙ্খা।..এখনকার ছেলে মেয়ে দের হাতে ই তুলে দেওয়া কাহিনীর ব্যাটন, এদের স্পস্ট করে দেখা, বলতে পারা ও অতীতের বোঝা নামিয়ে রেখে পথ চলার সাহস কে কুর্ণিশ জানিয়েছেন যশোধরা। মুক্তি এরাই আনবে। যৌনতার রহস্যময়তার আবরণ উন্মোচন করে তথ্যের নিরপেক্ষতার মধ্যে উত্তরণ।যশোধরার Clarity of perspective অতি তীক্ষ্ণ। সবমিলিয়ে উপন্যাস টি মনোভংগি ভাষা ও কাহিনী সর্ব অর্থে আধুনিক। একে বারে রিয়েল টাইমে দাঁড়িয়ে লেখা। দেশ কাল সময় ও ব্যক্তি সত্ত্বার বিশাল ব্যাপ্তিকে বিন্দুতে এনে কিভাবে প্রতিবাদের ভাষা নির্মান করেছেন যশোধরা। নির্য্যাস হয়ে মনে রয়ে যায়, পুরুষকে বিযুক্ত করার অভিপ্রায় নয়, তার সংগে আবার প্রথম থেকে পড়া জীবনের পাঠ।" ( অনিতা অগ্নিহোত্রী)

১১

অর্চির এন জি ও

এম বি এ পড়তে কত টাকা লাগে, অর্চি জানে। বাবা মাকে হাত মুচড়েও অত টাকা বার করা যাবেনা। ওদের ব্যাঙ্ক ব্যালান্স সব জেনে বসে আছে ও।
বাবা, যাকে ও ডাকে ব্যাবস্‌ বলে, আজকাল সব ব্যাপারে অর্চির ওপরেই নির্ভর করে। বাড়ির যাবতীয় বিল জমা ট্যাক্স জমা অর্চিই ব্যাঙ্কের নেট লিংক খুলে করে দেয়। বাবার ট্র্যাভেলের সব। বুকিং থেকে শুরু করে। আর মায়ের ক্রেডিট কার্ড-এর যাবতীয় পাসওয়ার্ড, পিন টিন অর্চির হাওলায়।

সবটা মিলিয়ে বাবা-মা কিন্তু অর্চিকে খুব বিশ্বাস করে, নির্ভর করে। অর্চি টাকাপয়সার ব্যাপারে শেষ অব্দি কিন্তু সচেতন। ভাল রেস্তোরাঁতে খাওয়া বা আয়েশ করে বেড়ানোর ব্যাপারে অর্চি যদিও আপোসহীন। কিন্তু মা ত বলে, অর্চি একেবারে খরচে না। যথেষ্ট টনটোনে জ্ঞান ওর , ওর চাই ভ্যালু ফর মানি। লোককে কতটা দিলে কতটা পাওয়া যায় সেটাও বেশ বোঝে। ও যে এতটা বৈষয়িক, সেটা, মা বলে, নাকি ওর মামাবাড়ির থেকে পেয়েছে। অর্চির বাবাকাকা চূড়ান্ত ক্যাবলা, বিশেষ করে টাকাপয়সার ব্যাপারে।

অর্চির প্ল্যান স্পষ্ট। ও খুব ফোকাসড। ভেবেছিল, বি টেক ডিগ্রি এসে গেলেই, একটা চাকরি অন্তত দু বছর করবে। নিজের স্যালারির পুরো টাকাই অর্চি জমাবে। বাবা মা ততদিন অর্চিকে শুধু খাওয়াথাকার খরচ জোগাবে, মাসে মাসে একটা ফিক্সড টাকা দেবে। এরকম একটা ডিল করে নেবে অর্চি।
যে টাকাটা জমবে সে টাকায় অর্চি এম বি এ পড়বে। টাকা জমানোর জন্য ও এমনকি মিউচুয়াল ফান্ড থেকে ক্রিপ্টোকারেন্সি, সব নিয়ে অল্পবিস্তর পড়ে শুনে জেনে ফেলেছে। বাবা যেখানে এল আই সির ওপরে উঠতেই পারল না, শেয়ার কেনাবেচাকে বেজায় ভয় পায়… অর্চি সেখানে এরই ভেতরে মার্কেট সম্বন্ধে নিজের মত করে আইডিয়া তৈরি করে নিচ্ছে।

আপাতত যে কোন একটা চাকরিই খুঁজছিল অর্চি।
কাকুর সঙ্গে খড়্গপুর গেছিল। আই আই টির ভেতরেই ছোট ছোট কিছু কনসাল্টেন্সি অর্গ্যানাইজেশন আছে। পারিবারিক কিছু বন্ধুবান্ধব আছে কাকু কাকিমার। তারাই খোঁজ দিল। ওদের সঙ্গে যোগ আছে একটি এন জি ও-র, সেটাতেই অর্চি কন্টেন্ট রাইটার অ্যান্ড ডেভেলপারের চাকরিটা পেয়ে গেল।

কাকুকে রাস্তায় ক্রিপ্টো নিয়ে অনেক কনসেপ্ট ঝেড়ে দিল অর্চি। কাকু থম মেরে ছিল। এমনিতেই , সেইদিন খড়্গপুরের রাস্তায় একবার গাড়ি খারাপ হওয়ায় কী সাংঘাতিক সিন ক্রিয়েট করল যে। এত ব্যাকডেটেড লোকজন। নিজের কম বয়সে কফি হাউজে বসে আঁতলামি করেছে। চৌত্রিশ বছরের বাম শাসনের লেগেসি এখনো বহন করে সত্তায়। আজকের যুগের সবচেয়ে ডেটেড মাল এই কাকুটা।

সুনন্দনার জামাকাপড় পরা নিয়ে সিন করল, ওরা সন্ধেবেলা কেন
গাড়ির দরজা খুলে হাইওয়েতে নেমে গেছিল, তা নিয়ে চেঁচামেচি করল।
একটা গাড়ি পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল, কাকু ভেবেই ফেলল ওরা সব পোটেনশিয়াল রেপিস্ট!

পরে বলল নির্ভয়ার ঘটনাটা কিছুদিন আগেই ঘটে গেছে বলে নাকি কাকুর ওরকম ফিয়ার সাইকোসিস হয়েছে। এত ভয় পায় লোকটা। এক বছর আগের কোন এক ডিসেম্বরের রাতে, দিল্লির রাস্তায় নটার পরে একটা মেয়ে আর তার বয়ফ্রেন্ড লাইফ অফ পাই সিনেমাটা দেখে ফেরার সময়ে একটা ফাঁকা চার্টার্ড বাসে লিফট নিয়েছিল। সে বাসের ড্রাইভার ও খালাশি সহ ছজন, যার মধ্যে একটি ছেলের বয়স ১৪…মেয়েটিকে শুধু ধর্ষণই করেনি, অমানুষিক অত্যাচার করেছে। লোহার শিক ইনার পার্টে ঢুকিয়ে দিয়ে খুঁচিয়ে বের করে দিয়েছে তার অন্ত্র, নাড়ীভুঁড়ি। মেরে পাটপাট করেছে। তারপর নগ্ন মেয়েটিকে , এবং সংগের ছেলেটিকে, ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে গেছে পথে। দিল্লির রাস্তায় জানুয়ারি মাসের অপার্থিব ঠান্ডায় নগ্ন রক্তাক্ত মেয়েটি পড়ে থাকার দৃশ্যটা নাকি কাকুর মাথার থেকে যেতে চাইছে না।

অর্চি জানে, এসব অবসেসিভ অভ্যাস আধ বুড়োদের থাকে। রিপ্রেসড সেক্সুয়ালিটি এদের। অনেকদিন আগে নেট থেকে একটা এইটিজ মুভি দেখেছিল, মরুভূমির মধ্যে একটা বৌদ্ধ মঠের গল্প। এক সাধু একটি কমবয়সী ব্রহ্মচারী আর একটি তরুণীর স্বাভাবিক যৌনতা মেনে নিতে পারল না। তাদের মরুভূমির মধ্যেই নির্বাসন দিল। নানা পাটেকর করেছিল মাঝবয়েসি সাধুর রোলটা। মেয়েটার একটা নগ্ন দৃশ্যও ছিল। ছবিটা নাকি শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটা গল্প থেকে। মরু ও সংঘ। তৃষাগ্নি ছবিটার নাম।

কাকুদের মত যৌবন পেরিয়ে আসারা আসলে এইরকম অবদমনের শিকার।
কাকুকে ওর এম বি এ পড়ার প্ল্যানিং , টাকা জমানোর প্ল্যানিং, বলেই রিঅ্যাকশন ওরকমই পেয়েছিল অর্চি। হাঃ । বাবা মার সঙ্গে নাকি কেউ বিজনেস ডিল করতেই পারেনা। বাবা মা হল সব ডিলের উর্ধে।
প্র্যাকটিকাল হতে পারল না এরা।
আজ যে খড়্গপুরের মেস এর ভাড়াটা ছাড়া আর কিছু দিচ্ছে না অর্চি, বাবা মা এখনো ওর খাওয়াদাওয়ার খরচ টানছে, এটা হচ্ছে বলেই না বছরে দু তিন লাখ টাকা জমাবে অর্চি।
বন্ধুদের সঙ্গেও ওরা কোন রেয়াত করেনা, বন্ধুরা এ ওর বাইক নিয়ে কেউ বেরোলে তাকে বলে দেয় তেল ভরে নিতে।
খেতে গেলে সবাই হিজ হিজ হুজ হুজ । খরচ করে মেপে। যদিও সবটাই নেট থেকে আর ফোনের অ্যাপ থেকে কেনাকাটা করে। সেটাতেই নানারকম মানিব্যাক হয়, নানারকম পে ব্যাক অফার আছে। চারজন খেতে গেল, এক জন পে করল, এরকম না। পরে সবাই অন্যকে ব্যাংকে বা ইউ পি আই আইডিতে নিজের ভাগের টাকা ফেলে দেয়।

চাকরি করতে শুরু করে অর্চি আস্তে আস্তে নিজের মত করে আবার জীবনকে গুছিয়ে নিচ্ছে। আর ধীরে ধীরে দূরত্ব তৈরি হয়েছে সুনন্দনার সঙ্গে । যোগাযোগ কমে এসেছে । রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস আপডেট করে “ইন এ রিলেশনশিপ উইথ” করতে দেরি করায় অর্চির ওপর রাগ করত সুনন্দনা । তারপর অর্চি সোশ্যাল মিডিয়াতে একটা চালাকি করল। এক দিকে সুনন্দনা যখন অর্চির প্রফাইল ভিজিট করত, দেখতে সুনন্দনার সঙ্গে রিলেশনশিপে আছে। অন্য বন্ধুরা ঢুকলে দেখত অর্চি সিঙ্গল, ফ্রি… যে কোন নতুন সম্পর্কের জন্য উন্মুখ।

এখন ওদের দুজনেরই “ইটস কমপ্লিকেটেড” স্ট্যাটাস। প্রেম পুরোপুরি ভেঙে যায়নি। তবে যে কোন মুহূর্তে যাবে। সুনন্দনা চায় স্টিল ফ্রেন্ডস থাকতে। অর্চি কী চায় কে জানে। এখন ওর মনে হয় সুনন্দনা আর ও গত তিন বছরে কিছুটা গ্রো অ্যাপার্ট করেছে। মানে বড় হবার পথ দুজনের আলাদা হয়ে যাচ্ছে। সুনন্দনা, যাকে বলে, কিছুটা এন জি ও টাইপ হয়ে যাচ্ছে। হাই মরাল গ্রাউন্ডে থাকে। কেবল জ্ঞান দেবে। নীতিকথা শোনানো, যাকে বলে।
ইন ফ্যাক্ট এই এন জি ওর মেয়েদের দেখলেই ওর হাসি পায়। ওরা সবাই একটু উঁচু করে ভাবে। নিজেদের উঁচুতে ভাবে। ইংরিজি ফটরফটর বলে, খাদির জামাকাপড় পরে। খাদি খুব ভাল জিনিস, হাওয়া চলাচল করে, ব্রিদ করে কাপড়চোপড়গুলো কিন্তু ওগুলোর দাম বেশি হয়। খাদি পরলে নাকি দেশের উন্নতি। গ্রামের লোক বানাচ্ছে বলে… তাদের হেল্প হয়। কিন্তু অর্চির এই ব্যাপারে একটা সন্দেহ আছে। জামাকাপড়গুলোর মার্কেটিং যারা করছে সেই মিডলম্যানরা ত অনেকটা টাকা নিজেরা নিচ্ছে। বড় বড় শো রুম হচ্ছে, কাটিং ডিজাইনিং এ টাকা ঢালছে। সত্যিকারের গরিবরা ক টাকা পাচ্ছে?

ওরা নাকি ব্যাকওয়ার্ড ক্লাসের জন্য কাজ করবে। হ্যাভ নটস দের জন্য কাজ করবে। কফিশপে কফি খাবে আর সেই বিল এন জি ওর খাতায় ঢুকে যাবে ব্যাকওয়ার্ড ক্লাসের রুটির দাম হিসেবে। এই তো তোমাদের ক্যালি ভাই।

চাকরির জায়গায় কাচের দরজা খুলে এখনি ঢুকল যে মেয়েটা, বেশ ভাল লাগে তাকে অর্চির। অনেকটা বড় করে কাজল টেনে পরে। কিন্তু ওই যে, ক্যাটর ক্যাটর কথা। হোলিয়ার দ্যান দাউ ভাব। অর্চির কাজ শেষ হয়েছে কিনা জানতে চাইল।
হাই অর্চিষ্মান, আর ইউ ডান?
কেন? তোমার কী দরকার কিছু?
হ্যাঁ তোমার পি সি তে বসব। শোননি ঘটনাটা?

কোনটা?
মহেশপুরেরটা?
ও হ্যাঁ হ্যাঁ , প্রথমেই স্মার্ট হতে চাইল অর্চি। কিন্তু ওর মুখ দেখেই মেয়েটা বুঝে গেল ও ক্লুলেস! খুব রেগে , হতাশ ভাবে বলল, একটা মেয়ে রেপড হয়ে মার্ডার হয়ে গেল! আর তুমি আকাশ থেকে পড়ছ। আদিবাসী মেয়ে।
অর্চি বলল, শুনে ত ছিলাম। কিন্তু রেজিস্টার করেনি মাথায়।
এমন রেগে তাকাল মনে হল অর্চিকেই ভস্ম করে দেবে। তাড়া দিল।
কুইক ! একটা চিঠি ড্রাফট করব। লোকাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে পাঠাতে হবে।
ও হো! আচ্ছা দাঁড়াও।
হাতের কাজ তাড়াতাড়ি শেষ করতে থাকে অর্চি। মেয়েটার নাম কৃষ্ণকলি। কটন কুর্তি আর পালাজো পরা।
কাজ শেষ হলে অর্চি উঠে যায়। ওর দিকে ড্যাব ড্যাব করে দেখলে ও অস্বস্তি পাবে।
গুনগুন করে মাথার মধ্যে একটা সুর। “কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি”।
গাওয়া যাবে না। বাজে একটা ব্যাপার হবে। মেয়েটা ভাববে অ্যাডভান্সেস করছে অর্চি।
রুমের বাইরে যাবে যাবে করছে , কৃষ্ণকলি বলে ওঠে, হরিবল সিচুয়েশন। রেপ করেছে একটা লোকাল আড়তদার আর তার লোকেরা। গ্যাং রেপ মনে হয়। সব ধামাচাপা পড়ে যাবে, জান তো?
নিজের ফোন থেকে হঠাৎ বার করে অর্চিকে দেখায় কৃষ্ণকলি। এই ছবিটা তোলা হয়েছে। প্লাস্টিকে মুড়ে বডি ফেলে দিয়েছিল ধানখেতে।
অর্চি দেখে, রোগা, কালো , খুব দুর্ভিক্ষপীড়িত দেখতে মেয়েটা। ফট করে মুখ দিয়ে বেরিয়ে যায় কথাটা, এ বাবা, এ তো জঘন্য দেখতে। এই মেয়েটাকে রেপ করে ওরা কী পেল?
দুম করে কম্পুটার চেয়ার ছেড়ে দাঁড়িয়ে ওঠে কৃষ্ণকলি। কালো হরিণ চোখ থেকে গণগণ করে আগুন ঝরছে তার। অর্চিকে কেটে কেটে বলে, অর্চিষ্মান, তুমি এখুনি যে রিঅ্যাকশনটা দিলে এটা একটা টোটাল সেক্সিস্ট রিঅ্যাকশন। জানো , বোঝ সেটা? তুমি জান না, রেপ ইজ নট অ্যাবাউট কনভেনশনাল বিউটি? ইটস এ পাওয়ার থিং! একটা মেয়ের সৌন্দর্য বা কতটা সে মেয়েমেয়ে এসব কিসসু না। আসলে একটা যে কোন যোনি পেলেই তার ভেতর কিছু একটা ঢুকিয়ে দিয়ে পুরুষ এবং পুরুষতন্ত্র নিজেদের ক্ষমতা জাহিরের পলিটিক্সটা করে। জানতাম না একটা এন জি ওতে কাজ করেও তুমি এত ইনসেনসিটিভ হবে।
কৃষ্ণকলির চোখ দেখে অর্চির সত্যিই নিজেকে খুব ছোট মনে হয়। তারপর ও প্রফিউজলি ক্ষমা চাইবে বলে ভাবে… আর তখুনি, প্রায় হাঁটু গেড়ে বসার মত একটা অবস্থা হয় মনের। বুক ধড়াস ধড়াস করে ওঠে।
আর ও বুঝতে পারে, এটাই প্রেমে পড়ার পূর্ব লক্ষণ।
ও দু হাত নাটকীয়ভাবে ওপরে তুলে ধরে, সারেন্ডারের ভঙ্গিতে, মুখে ওর সেই ভুবনভোলানো হাসিটা আনে যেটা কখনো কোন বন্ধু বা বান্ধবীর ক্ষেত্রে ফেল করেনি। সেই হাসিটা দিয়েই ও যুদ্ধ জয় করবে আজও , ও জানে।
ও হাসতে হাসতে বলে, আই সারেন্ডার, আমি তোমার কাছে আত্ম সমর্পণ করলাম, সরি, আর কখনো ভুল হবে না ।

CATEGORIES
TAGS
Share This

COMMENTS

Wordpress (0)
demon slauer rule 34 lena the plug leak amateurtrheesome.com cumming in milfs mouth mujer haciendo el amor a un hombre, belle delphine of leaked emma watson in porn xxxamat.com big booty in public hidden cam gay sex, sit on face porn g a y f o r i t forcedpornanal.com please screw my wife female celebrity sex tapes
404 Not Found

Not Found

The requested URL was not found on this server.


Apache/2.4.41 (Ubuntu) Server at hacklink.site Port 80