সুবিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়-এর কবিতা
১)
বন্যতা
———
বাঘের জিভের মত লাল সূর্যের ছায়া কাঁপা কাঁপা জলে।
বন্যতা এক নাগরিক দোষ।
মাতলা থেকে রায় মঙ্গলের পাড় ধরে হেঁটে হেঁটে গেলে পড়বে দক্ষিণদ্বারের ভাঙা মন্দির।
এর পর থেকে বন্যতার গুণেই বন টিকে থাকে।
২)
সিঁড়ি
——-
পিলখানার পাশে আস্তাবল
তারপরে মহাফেজখানা।
সেখানে পায়রা ওড়ে রোদ বা মোমের আলোয়।
এর পর ঘোরানো লোহার সিঁড়ি।
সিঁড়িতে মেথর ওঠে।
ও পথেই রাজা নেমে যায় রাষ্ট্র্ব বিপ্লবের রাতে।
৩)
শিশু
——-
কবির চোখের দিকে দীর্ঘক্ষণ তাকিয়ে
যে অন্ধ হয়েছিল তার বাড়ি লাগোয়া
ডোবায় ব্যাঙ খলবল।
পাশের ইঁট ভাটায় সন্ধ্যায় ধোঁয়া কুণ্ডল।
শিশুদের মতি চির চঞ্চল।
৪)
দাবানল
———–
কেবল পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেলেই কবিতা লেখা যায়।
এক একটা আগুনের গোলা পর পর গড়াতে গড়াতে এলে এমনটা হয়। দাবানল চেনেনা সব লোকে।
অপলক চেয়ে থাকে আর চোখ জ্বলে যায়।
৫)
ধান
——
প্রোষিতভর্তৃকা শব্দের অর্থে আছে
মানুষখেকো বাঘের গন্ধে ছেড়ে আসা
বিস্তীর্ণ এক পরিত্যক্ত গ্রাম।
নিকোনো উঠোনে খরিস গোখরোর খেলা
আর সবুজ ক্ষেতে থরে থরে লক্ষ্মীবিলাস ধান।