শ্রুতকীর্তি দত্ত-র কবিতাগুচ্ছ

উৎসব সিরিজ…
১
উৎসব শেষ হয়ে গেলে মন ধূ-ধূ করে ওঠে,
মনে হয় এইবার, ঠিক এইবার, সব অজানা ভয়গুলো ইউটার্ন নেবে!
শরৎকালের বিকেল মানেই মন ছাপিয়ে কান্না…
যেন একটা ফাঁকা মাঠ জুড়ে
একটাই কাঠের টেবিল, তাতে সাদা কাপ, একটাই!
পৃথিবীর নিঃসঙ্গরা এক হও,
আর কাপে ঢেলে দাও বিষাদ।
ঢেলে যাও, যতক্ষণ না চোখ জ্বালা করে ওঠে।
কে না জানে,
বিষাদ কখনও উপচে পড়ে না।
২
বোধন হল, তবু আলো কই?
এক সীমাহীন অন্ধকার,
শরীরে ঘোর আনে।
কানায় কানায় ভরে ওঠে বন্যার জল,
হাঁপিয়ে উঠি, তবু এক টুকরো আলো পাই না কোথাও!
এক অনন্ত মাইগ্রেন, ছেয়ে আছে বিশ্বচরাচর…
ঈশ্বর, এটুকুই কি ছিল তবে…
তবে কি আজ, আমার শখের লেখাটি কবিতারূপ পাবে?
৩
কাফসিরাপ, জ্বরঠোঁট আর ধোঁয়াচোখ পেরিয়ে
তোমার নিঃশব্দ পায়ের আওয়াজ এগিয়ে আসে।
আমি মেনিবেড়ালটা হয়ে চুপ করে বসে থাকি।
একটা সরু আলো আর তারপরই কীরকম তুমি দশভুজা হয়ে যাও মা!
এক এক করে পেরিয়ে আসা উপত্যকাগুলোয় আবার ডেইজি ফোটে। আমরা দশমিনিটের অটোয় একটা আস্ত শিশুদ্যান বানিয়ে ফেলি।
অথচ, পরমুহূর্তেই তোমাকে ভিড় বাসে চেপে আগুনবর্তী হতে হবে, যে আগুনের তাপ আমি কোনওদিন বুঝতেই পারব না!
জ্বরস্বপ্ন এলোমেলো, শীতল হাত ঘুম পাড়িয়ে দেয়।
ঘুমিয়ে পড়ি অবলীলায়, ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ারস-এ জেগে উঠব বলে…
৪
দিওয়ালি চলে গেলে অন্য আলো খুঁজি।
দেখি, একে একে নিভে গেছে
জমে থাকা জোনাকিরা।
আমার শিরায় জ্বলে অভিমানী-
আলো,
হিম পড়ে কাজকর্মে-
ছাদে শ্যাওলা,
যেন কোনও প্রাচীন মহীরুহ
ক্লান্ত।সঙ্গীহীন।
সুন্দর লেখা।
খুব ভালো।
খুব ভালো লেখা
ভালো লাগল