মৌমিতা পাল-এর কবিতা
তাঁবুর জমিন
গোলাপের শ্বাসকষ্ট হলে
মহাকাল জাগে
কথা রেখো সই
আরতি-প্রীত মনে বিচ্ছেদসন্নিভ
উন্মুখী নীলপদ্ম যেন কালোমুখ
চোখে চোখ লাগে
আবিষ্ট বিষের তুল সব কাজ ছাড়ি
কুলভোলা নারী মরে বিদ্ধ অনুরাগে
কানুমালা জপে অতএবে
ভারাবনতা রাদ্দিন উচাটন পরিণামে
ছাড়িলে ছাড়েনা প্রেম, স্বর খোদার খোদাই
দ্বিজ যা বোঝে তা বোঝে আরযোগী
রাধার যোগিনীপ্রেম গোলাপসম্বল
….
তোমাকে বলিনি
নুয়েপড়া রাতেই বিহ্বল চাঁদ
কদম্বের চন্দনদেহ মুরলীবিনোদ
কেবলই গাহন করো, গুঞ্জাবিদ্ধ চূড়
কেঁপেছে ঈষৎ শ্বাস, তাকে দ্যাখে চোখ
এত এত রূপ তার, ধরে নাতো সার
সংসার সাব্যস্ত দায় বৃথা আজীবন
বিষম শ্যামের লোভ রচে আমরণ
জ্ঞানদাস দেয় মিতাক্ষরার অনিমিখ ছুটি
….
চন্দ্রাস্তে ফিরে যাচ্ছে মরুৎরা
তেজল মান মাধবসঙ্গে
অতিরতিরস সভয়মৃদঙ্গে
গোষ্ঠপতির গদগদবোল
সুন্দরীর ইঙ্গিতকেবল
ঋত-আভা দেখে বিমুখ মুখ
অভিমানী সুখ
মানীনির মান বোঝে চকিতচকোর
প্রেমদাস রাই চেনে হরিবাহুডোর
….
মৃদু মুখ,
প্রেমের শরীর তার প্রাত্যহিকতার
দ্বৈতে সূচনা যার অদ্বৈত সম্বল
বন্ধুর গরবে গরবিণী রাই, জীয়ন্তে জীবন রাখে
অন্যের যে আছে থাক
রাই-এর কেবল কালা চান্দা
সজলপাঠে জ্ঞানদাস ছলনিদ্রা দাও
….
নারীর খোলসে ছিলো বসন্তবিলাপ
অনুশোচনার রাধাচূড়া দূরে যাও
এক হাজার মাইল
আদরে বাদর যত কিন্নরহৃদয়
পিবই গরলসুখ
উগারে না দেবো
গোঙায় গোঙাক মন
তরলিত ধার
জনমে জনমডোর
তুয়া অভিসার
তুঙ্গবিদ্যা তুঙ্গসুখ না আচরি পাও
আগুসরি রাই রসসার চিনে নাও
নারীর খোলসেই ছিলো নিঃশর্ত জীবন
মুগ্ধ – মুগ্ধ হলাম মৌমিতা পালের কবিতা পড়ে। বৈষ্ণব পদাবলীর রৌদ্র ও জ্যোৎস্নায় তিনি মেলে দিয়েছেন নিজের স্বর, স্বরলিপি।
খুবই সুন্দর লেখাগুলো ❤️❤️❤️
অনবদ্য সিরিজ। চমৎকার মৌমিতা।
লেখাগুলি ভাল লাগল। বারকয়েক পড়লাম। তরুণ কবির স্বর দূরগামী হোক।
নিজস্ব স্বর একেবারে