
মণিশংকর বিশ্বাস-এর কবিতা
ফুলের বাগান
মায়ের সঙ্গে অসংখ্য ছবি থাকে
কিন্তু হয়তো তোলা হয় না খুব একটা—
ক’টা ফুলই বা তুলতে হয়
পুজোর জন্য
দ্যূতক্রীড়া
তোমাকে পাব না জেনেও
তোমাকেই ভালোবাসি
তোমাকে পেয়েছি ভেবে
আলো হয়ে থাকি
বড়দিন
হাল্কা কমলা রঙের একটা চাদর গায়ে বসে ছিলে তুমি বারান্দায়
বেড়ালটি ছিল তোমার কোলে, আদর খাচ্ছিল
বেড়ালটার নরম তুলতুলে গায়ে তোমার হাতের স্পর্শে
যে বিদ্যুতের জন্ম হচ্ছিল
তাতেই জ্বলে উঠছিল লালনীল অজস্র টুনিবাল্ব
যৌনতা
মোটামুটি একই হাইটের আমরা দুজন—
অথচ যখনই মুখোমুখি হই
এক মুঠো ধুলো হয়ে যাই…
মুহূর্ত আগেও যে আমি
তোমার হাতের পুতুল ছিলাম!
বনফুল বসু
দূর থেকে তোমাকে আরও বড় দেখায়
ঠিক যেভাবে ওই নক্ষত্রগুলিকে ছোট
ঋতুদি
জানালা দিয়ে আলো আসে
– অন্ধকারও কি আসে না কখনো?
– না; কিন্তু চলে যায় কখনো কখনো
যখন আলো জ্বালা হয় ঘরে
তুমি অন্ধকারের ওই চলে যাওয়াটুকু—
তুমি এই আসা-যাওয়া
বৃষ্টি মিত্র
তুমি দূরবীন
পুরনো দিনগুলি পায়ে হেঁটে কাছে চলে আসে
তোমার ভিতর দিয়ে
ক্যাওস থিয়োরি
সুতো জট পাকিয়ে যায়,
যেন স্মৃতিহীনতায় লেগে থাকা কোনো গন্ধ
অবুঝ স্তোত্র,
ভাবি এও কী পূর্বনির্ধারিত?
এই জটিলতা, এর প্রতিটি অধ্যায়, ব্যাখ্যাযোগ্য?
যেরকম ব্যাখ্যা লিখিত হয় বাতাসে
চিলেকোঠার থেকে পড়ে যাওয়া পাখির পালকে
নাকি এসব কিছুই নয়—
সুতোর মেটেরিয়ালই দায়ী
নিজেকে দেখেও আমার প্রায় এই একই কথা মনে হয়।
খুব ভালো লাগলো।
‘বড়দিন’ একটি বহুসময়জীবী কবিতা, তুলনাহীন ভালো। ‘যৌনতা’ কবিতাটিও সুন্দর। বাকিগুলো পূর্বভাবনাকে বা আইডিয়াকে অতিক্রম করতে সচেষ্ট থেকেছে, উদ্দেশ্যবাদীর মন কাজ করেছে, অহৈতুকীর চেয়ে বেশি। এরকম মনে হ’ল, তবু কবিতাগঠনে ও বিভাবে আপনার মুনশিয়ানায় তো উতরেই চলেছে কবিতার শ্রী ও সামর্থ্য। শ্রদ্ধা।
খুব ভালো লাগলো আপনার লেখা