ভার্চুয়াল ডুয়ালিটি ও জুরাসিক চোখ
সৈকত ঘোষ
১.
চোখ বেঁধে রাখলে ছটফট করে শূন্য-
শূন্যকে একটা ব্ল্যাকবক্স ধরে এগোলে সিদ্ধান্ত দুলতে থাকে, সময় পেন্ডুলাম। ভয়ার্ত চিৎকার নিভে যায়, নিভে যায় নরম সম্ভাবনা। এখান থেকে রিভার্সে যাওয়া প্রয়োজন, বেহালা বাজছে অন্ধ হয়ে গেছে বিশ্বাসের ডিপ-ফরেস্ট। আমাদের এই ঔদাসীন্য নিয়ে সময়ের কোনও পাটিগণিত নেই, তেজস্ক্রিয়তা খুঁজে নেয় সম্পর্কের ছিন্নমূল। না মৃত না জীবিত, না আলো না অন্ধকার। গভীর ঘুমের মধ্যে জীবন ও মৃত্যুর ডুয়ালিটি নিয়ে সে খুঁজে পায় নতুন পৃথিবীর চোখ
২.
প্রাচীন অমনিবাস থেকে জেগে ওঠে মহামারী ব্ল্যাকহোল। ঘনত্ব বাড়তে বাড়তে সে গিলে নেয় স্থান কাল। সূর্যের আমন্ত্রণে কি বদলে যাবে অস্থানিক ভারসাম্য? ছন্দ পতন হয়, অমৃতের সন্ধানে রচিত হয় বিকল্প ব্রহ্ম। জমিয়ে রাখা অবিশ্বাস শূন্যের পাশে অযান্ত্রিক হয়ে ওঠে। এখান থেকে বিকল্পের জন্ম, স্বপ্নের ডিকোড হতে হতে চশমা খুঁজে পায় অযাচিত মাতৃসদন
৩.
দেখার ভিতর ক্রমশ ম্লান হয়ে যায় মেপল রঙের শীতকাল। আমরা ছুঁয়ে দেখি আত্মগোপনকারী উপপাদ্য, আমরা চিনে নিই মেরুদণ্ডের ব্যক্তিগত অভিসার। দূরত্ব সচেতন হয়, অনুপাতে বদলে যায় মুহূর্তের প্রকাশভঙ্গি। একে কি পুনরুজ্জীবন বলে? নাকি সংবেদনশীল আত্মা নিখুঁত ভাবে রচনা করে ক্রিয়ার কাল! এই অনিশ্চয়তাটুকুই বাঁচিয়ে রাখে আলো, আলোর শরীরে উদ্ভাসিত জুরাসিক চোখ
৪.
কতটা ব্যবহারিক হয়ে উঠেছি আমরা? কতটা আনস্যাচুরেটেড এ আলাপচারিতা! ফাইল চিত্রে হেসে ওঠে প্রমোদ ভ্রমণ, লাল বাতি মুখ শিরায় উপশিরায় দখল করেছে অতিরিক্ত। এ মানচিত্র আমাদের চেনা, এ অন্ধকার আমাদের সম্বল। আমরা জোনাকির বিনিময়ে ঘুম কিনেছি, ঘুমের বিনিময়ে শক্তিশেল। এ সক্রিয় মিথোজীবিতা টিকিয়ে রাখে স্থানিক ধ্রুবক। যদিও পৃথিবীর গতিসূত্রে কোথাও ভার্চুয়াল রিয়ালিটির কথা বলা নেই
৫.
যদিও মৃত্যু এক বিকল্প বিশ্বাস-
বৃত্ত থেকে ছিটকে যাবার আগে দর্শকের ভূমিকায় দাঁড়ালে সহজেই তাকে অনুবাদ করতে পারবে। তবে মৃত্যুর কোনও হুবহু প্রতিলিপি নির্মাণ করা যায় না। অনন্ত জীবন আর রঙের খেলায় পৃষ্ঠা ভরে যায়। এই পর্যন্ত পৌঁছে থমকে দাঁড়াই। জরুরি ভিত্তিতে সময়কে অতিক্রম করেছে সময়। প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে এক রূপ থেকে তার অন্য রূপে ফিরে যাওয়া। এর মধ্যে কোনও মহাপৃথিবীর আদিম রহস্য নেই, নেই ইম্পালসিভ যানজট। আসলে মৃত্যু এক আবহমান খেলা, উপস্থিতির মধ্যে তীব্র অনুপস্থিতি