বেদানুজ চক্রবর্তীর কবিতা
১.
যে লেখা আমার নয়, সেই লেখা লিখে ফেলি। গায়ে নীল রং, ঘাম মুছে ফেলে, হাতে আর কলম ওঠে না।
যে ঘরে থাকি, তার পাশে আছে এক আশ্চর্য ঘর। বহুদিন ভুলে গেছি সেই ঘরে বিস্মিত হতে।
ঘামের প্রাচীর পেরিয়ে, কোনো শান্তি আর অপেক্ষায় নেই। যে লেখা আমার লেখা নয়, তাই শুধু লিখে যাই মন দিয়ে।
মা বলল— লেখ, আজ কী কী খরচ হয়েছে, লেখ। এই যে কলম। খাতা।
বউ বলল— কাল কী খেয়ে যাবে? খেয়ে যাবে?
জীবিকা বলল— খাবো, এসো, খাই। কলমের আবডালে লুকাই।
আমি কি লুকাই ?
আপনি বড্ড সাবমিসিভ— শ্রীতমা বলেছে— এমন ন্যাতানো হয় পুরুষ মানুষ!!!
বদ্ধ হতে হতে, বধ্য হতে হতে, মোরগের আর্তনাদ— সেকি শুধু সময়জ্ঞাপক?
যে লেখা শোয়ানো আছে দুধসাদা জ্যোৎস্নায়, তার মুখ পাছে দেখে ফেলি…
ভয় হয়।
২.
যাও কুহেলিকা, রোদকে জাগাও।
বহু যুগ হয়ে গেল শুয়ে আছে প্রান্তরের ঘাসে।
যাও কুহেলিকা, রোদকে জাগাও।
এখানে সন্ন্যাসী হাওয়া মেধাকেও করেছে নির্মম ;
সর্ষের ক্ষেতে মায়াহীন ফুলগুলি…
যাও কুহেলিকা, রোদের আদরে আদরে
রোদকে জাগাও।
দূরের যে দৃষ্টি ছিল, দূরকে দেখার
অন্তরকে, অন্তরালকে,
বাষ্পরুদ্ধ চোখের ভাষাকে, অনুভবে
হৃদয় ছোঁয়াছুঁয়ি—
কোথাকার কুহেলিকা আড়াল করলো এসে
প্রতিবেশী মুখ।
অথচ অন্তরালে এখনও সর্ষের ক্ষেত, অথচ আলগুলি
এখনো আকীর্ণ জলে।
এখনও দিগন্ত দেখ তীব্র হলুদ।
যাও কুহেলিকা, রোদকে জাগাও।
হৃদয়ের মাঝামাঝি ধবল প্রাচীর।
রোদকে জাগাও
রোদকে জাগাও
খুব সুন্দর
অনেক ধন্যবাদ