
প্রসূন মজুমদার-এর কবিতা
বাসনা
ভিতরে ভিতরে বীভৎস লোভ
কুরে কুরে খায় পোকার প্রকার।
ওগো মনপ্রভু,ওগো বান্ধব
আমাকে একটু করো উপকার।
একহাতে দিয়েছ লেখার আঙুল
অথচ দুহাতে শূন্যতা দিলে
আর কাম দিলে আউল – বাউল
কামুকী খুঁজেছি অন্তে ও মিলে।
তবু সে কুহকী দূরে চলে যায়
একা করে দিয়ে প্রতিটি দুপুরে
প্রেতিনীর মতো কে ডাকে আমায়
মনের ভিতরে মনেরই নূপুরে।
যত কাছে যাই তত সরে থাকে
ছুঁতে চেয়ে তাকে আলেয়া ছুঁয়েছি
ফিরে দেখি পথ ঢেকে আছে পাঁকে
পাঁক থেকে কারা করে ছি – ছি- ছি – ছি।
আমি তো ফেরার পথ খুঁজে পেতে
চাইনা, অথচ তুমিও অধরা
এমত একাকী পথে যেতে যেতে
অসম্ভবের শূন্যকে ধরা
কখনো হবে কি? পাব কি তাকাতে?
যেখানে দৃশ্য অতলে হারায়
না দিলে না দিও, লেখাটির হাতে
অন্তত দিও লিপি ইশারায়।
সেইসময় – এইসময়
সামান্য এই চিত্র
গ্রামের বাড়ি অদরকারী, নিম্নমধ্যবিত্ত।
তখন সবে সন্ধে
অনেক মানুষ আত্মহারা যুদ্ধজয়ের গন্ধে।
বাড়ির ভিতর বিষাদ
শিকার করে নিয়ে গিয়েছে যেন প্রবল নিষাদ।
কী হবে তবে পর পর?
কিছুক্ষণের স্তব্ধতা, খুব আস্তে আস্তে ধড়ফড়
জানতে চাইল, “শুনবে “?
সম্মতিতে অন্ধকারের বীভৎসতা বুনবে।
সমস্তকে ধর্ষণ
সেই পুরোনো দিনের মতোই ধমক-চমক – বর্ষণ।
সে বাড়ি প্রায় নিরক্ষর, তবুও দূরে দেখত
এসব কথা শুনিনি শুধু ভেবেছি অতিরেক তো!
এখন অনুতপ্ত
অথচ সব ছোবল এখন করে ফেলেছি রপ্ত।
ছোবল দিতে দিতে
নিজেরই আনাকোণ্ডা জেগে খেতে চাইছে শীতে।
শীতঘুমেরও ভিতর
মনে হচ্ছে আসলে আমি অসভ্য আর ইতর।
কীভাবে আর কবে
নতুন করে বিষাদখেকো স্বপ্ন লেখা হবে?