দেবাশিস তেওয়ারীর কবিতা
ছায়ার আত্মাকে
নিরঙ্কুশ যন্ত্রণার মাথা ভেঙে গেছে
বিধিনিষেধের মাঠে, পড়ে আছে ধুম্
রতিতে রতিতে মিলে আলুলায়িতেরা
ভাসাল আলগা স্রোতে নিয়ন্ত্রিত ঘুম
ঘুম তো আলেখ্য মাত্র, কাটাকুটি খেলা
ঘুম, ছায়াঘুম মেখে বিছানা পেরোলে
হাওয়ায় তীব্র হয় যন্ত্রণার ভেলা
বাজে না ভাসান গান— মাঠকে মাঠ তোলে
কী তোলে কাপড় নয়, যন্ত্রণার মাথা
ছায়া অব্দি নেমে গেছে হাঁটু-গামছা খুলে
বিকেলে পার্কের বেঞ্চে পড়ে থাকা পাতা
সতীত্বের ফাঁক দ্যাখে আধোঘোমটা খুলে
মিলাতে পারছে না এই বিকেলের খেয়া
কেবল ঘুরছে, ঘুরে চোরাস্রোতে যাকে
দেখতে পাচ্ছে, বিসর্পিল, রাতের আলেয়া
মেরে দিচ্ছে— বোধিসত্ত্ব, ছায়ার আত্মাকে ।
ঋণ
আরেকবার বিশেষ্যের পাদ্যে বসে আলো
দেখিয়ে দেখিয়ে গেল সোনালি খদ্দের
পটভূমিকার মাঝি জীর্ণ করে ভালো
বিকিয়েছে বিবেকের স্বল্প অংশ জের।
পাতায় পাতায় মাথা বোনা কিংবা ঠাসা
ঠাসবুনটের ভিটে কুকুরের লেজ
যতই টানুক লোকে পরিত্যক্ত বাসা
কতটা করতে পারবে নিজের এ গেজ ?
পার্শ্বনায়ক টানে, বদলা ফিরে আসে
প্রবহমানের লজ্জা জটিলতাহীন
নৈঋত সাজায় জমি, লাভ নেই চাষে
হিসেব— অংকের ভাগ্যে, বাড়বে কিছু ঋণ