তোমার দুঃখ গায়ে লাগে আমার, গৌতম-দা <br /> কুন্তল মুখোপাধ্যায়

তোমার দুঃখ গায়ে লাগে আমার, গৌতম-দা
কুন্তল মুখোপাধ্যায়

অতি সম্প্রতি মাত্র ৫৮ বছর বয়সে চলে গেলেন কবি গৌতম দাস (১৯৬৩-২০২২)। কবিতার তন্নিষ্ঠ পাঠক মাত্রেই জানেন, তাঁর কবিতার যে নিজস্ব ব্যক্তিত্ব, তার ব্যাপ্তি কতদূর। কিন্তু আড়ালে ও নির্জনে থাকা এই কবির কবিতার বইগুলি দুষ্প্রাপ্য। অনেক কবিতার বই এখন পাওয়াও যায় না। আগামীর পাঠকদের কথা ভেবে তাঁর কবিতাসমগ্র প্রকাশের জন্য যদি কোনও প্রকাশক এগিয়ে আসেন, তাহলে বাংলা কবিতা চিরঋণী হয়ে থাকবে। কারণ, তাঁর কবিতাসমগ্র প্রকাশ পাওয়া এবং তাঁকে পাঠ করা বিশেষ ভাবে জরুরি। এই অনুরোধটুকু থাকল আবহমানের পক্ষ থেকে।

সেদিন অরিন্দম বলল আমি তো গৌতমদাকে দেখলাম রাস্তায় হেঁটে যাচ্ছে । সেইরকম মুখ নীচু করে চলা । সেইরকম হাঁটা। মুখের মধ্যে উত্তর পূর্ব ভারতের মানুষদের আদল । একদিন তো আমাদেরই আড্ডা ভেঙে একজন গৌতমদাকে ডেকে বলেছিল – আরে আপনি তো বাংলাটা খুব ভালো বলেন দেখছি !! আর তা নিয়ে আমাদের বন্ধুদের হাসি মজার ছররা বয়ে গিয়েছিল । গৌতমদা একটা ভালো কথা বললেই – আরে আপনি তো বাংলাটা …. সেই গৌতমদা আমাদের শহরের রাস্তায় রাস্তায় হেঁটে যাচ্ছে মৃত্যুর পর ! আরও অনেকের মধ্যে ! ভিড়ের থেকে দূরে নয় ,যে লোকটা ভিড়ের মধ্যে মহাকাশ আর দিগন্তের স্বপ্ন দেখতে চেয়েছিল । গৌতমদা হেঁটে যাচ্ছে এমন মানুষদের ভিড়ে যাদের কথাই তো লিখতে চেয়েছিল একদিন । মূলত উচ্চতাহীনতার কথা । মূলত খর্বকায় মানুষের কথা ।
মৃত্যুর পরেও হেঁটে যাওয়ার স্বপ্ন ছিল বাংলা ভাষার খুব গুরুত্বপূর্ণ একজন কবির । শুধু কবিতার জন্য কবিতা লেখার জন্য বেঁচে থাকতে চেয়েছিল গৌতমদা । নিজের কবিতাজগতে আকাশকুসুম এক পরিবর্তন এনেছিল গৌতমদা । মহাজগত থেকে তাঁর কবিতা ধীরে ধীরে নেমে এসেছিল সাধারণ আটপৌরে জীবনযাপনের মধ্যে । আর সেইসঙ্গে দুইরকম কবিতভাষা নির্মিত হয়েছিল । তাঁর সমস্ত কাব্যগ্রন্থকে আমরা যদি দুইভাগে ভাগ করতে পারি , তাহলে দেখব প্রথম পাঁচখানা কবিতার বইয়ে যে ভাষা ব্যবহার করেছেন তা বাঙলা ভাষা থেকে ছেনে নিয়েছেন , কুঁদে নিয়েছেন ভাস্করের মতো । প্রথম পাঁচখানা বইয়ে তিনি পৃথিবী মহাজগত মানুষ আমাদের অস্তিত্ত্ব নিয়ে ভেবেছেন । আর তার ভাষাটি চিরাচরিত তৎসম-প্রধান । তার ছন্দ ও লোকজ মিথদর্শন , কবিতায় তাকে জড়িয়ে নেওয়া — এ এক অনবদ্য পৃথিবী যাতে পাঠক মুগধ হয়ে যাবেই । দ্বিতীয় পর্বে অর্থাৎ ষষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ থেকে অন্য একজন গৌতম দাস কে আমরা দেখতে পাব । যে গৌতম লোকায়ত । যে গৌতম পাশের বাড়ির কথা ভাবেন । (ref ‘ পাশের বাড়িতে আজ নিম্নচাপ’ অথবা ‘আমার ছেড়ে রাখা চপ্পল পরে গেছে অন্য কোনও পা’ ) , যে গৌতমের কবিতায় ভিড় করে এলো এম টিভি ভি চ্যানেল যৌনতা রাজনীতি লোকাল কমিটি রাস্তা খিস্তি মতলবি মানুষ সিপিএম পার্টি আর পাইকপাড়ার মোড়ে প্রেম । সঙ্গে সঙ্গে কী আশ্চর্য এক আলাদা কাব্যভাষা নির্মাণ করলেন গৌতম দাস । একেবারেই তাঁর সিগনেচার ভাষা । মূলত মানুষের দিকে আসতে চাওয়ার এই যে আর্তি তাঁর এ কিন্তু বন্ধুবান্ধদের মধ্যে প্রচণ্ড তর্কের জন্ম দিয়েছিল।

অনেকেই বলেছিলেন এ কী হাল হল গৌতমের কবিতার !! গৌতম কেন এইরকম প্রতি-কবিতার ধরনে ভাবছে । কিন্তু গৌতম দাস যেহেতু কাউকে সন্তুষ্ট করার জন্য কবিতা লিখতে আসেননি তাই স্থির আর শান্ত রইলেন , তাঁর মুগধ পাঠক তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিল ঠিকই, কিন্তু তিনি সেসব ভেবে নিজের জগতেই থেকে গেলেন । স্থির , শান্ত , অবিচল । শুধু সেই ‘দেয়াললিখন’ নামে কবিতার বই থেকে যে ভাষা তৈরি হয়েছিল যে পারস্পেক্টিভ তৈরি হয়েছিল তার সঙ্গে আরও অসংখ্য অসংখ্য স্তর যুক্ত হয়ে গেল । যুক্ত হল লোকায়ত গল্প, পুরান, ইতিহাস, যুক্ত হল একটি সামান্য মানুষের প্রতিদিনের বেঁচে থাকার আর্তি ও বিস্ফার । এই যে আলাদা একটা ভাষায় আর ভাবনায় তিনি এসে দাঁড়ালেন এইখানে পাঠক হিসাবে খুবই বিস্মিত হয়ে যাই আমি । পাঠকপ্রিয়তা হারিয়ে ফেলতে কেউই চায় না , কিন্তু কবিতার প্রয়োজনে এই ঝুঁকি নিতে দ্বিধা করেননি তিনি ।
এই প্রসঙ্গে মনে পড়ে গেল একটি বিষাদ । পত্রিকা সম্পাদনার প্রয়োজনে একজন তরুণ কবিকে কবিতা চাইতে হয়েছিল আমায় । তাঁকে ফোন করতে হয়েছিল । তো , সেই তরুণ কবি তাঁকে কোথায় কোথায় কবিতা দিতে হয়েছে আর কোন কোন জায়গায় কবিতাপাঠের জন্য যেতে হয়েছে এই কথা জানিয়ে আমাকে জানালেন যে আমার কথা উনি মাথায় রাখলেন, আমাকেই ফার্স্ট প্রেফারেন্স দেবেন এবারে কবিতা পাঠানোর সময়ে আমাকেই সর্বপ্রথম মনে রাখবেন । তরুণ কবির এইরকম আচরণ দেখে যখন মন বিষণ্ন খুবই তখন একদিন গৌতম দাসের সঙ্গে দেখা হয় । আর দেখা হলেই লেখা নিয়ে আলোচনা আমাদের হবেই । আলোচনা হতে হতে গৌতম দাস জানান যে কবিতা তাঁর কাছে ঘুমিয়ে পড়বার ওষুধ । বাস্তবের অত্যাচারে যখন মাথা ব্যথা করে তখন দুটো কবিতা পড়ে একগ্লাস জল খেয়ে শুয়ে পড়েন তিনি । তাঁর মাথা সেরে যায়, ঘুম হয় । একটি প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে তিনি জানান কবিতা একটি জানালা , যে জানালা খোলা যায় । এই দুটো অভিজ্ঞতা পাশাপাশি রেখে ভাবছিলাম কী শার্প কন্ট্রাস্ট এই দুটি ঘটনার । একজন নতুন লিখতে এসেছেন । আর একজন কয়েক দশক ধরে লিখছেন । একজন লিখতে এসেই পেয়েছেন স্বীকৃতি আর সেই গরিমায় আনন্দিত আত্মাভিমানী , আর একজন পেয়েছেন কবিতার অন্তর্জগতের ঈশারা । একটি জানালা । যে জানালা খোলা যায় ।

ঠিক এই জায়গাতেই এসে দাঁড়িয়েছিল তাঁর লেখা । কবিতা একটি জানালা যে জানালা খোলা যায় । জানালা খুলে যা যা দেখতেন সেইসব সেইসমস্ত কিছু তাঁর কবিতায় পাওয়া যাবে । রাস্তার পাগলকে দেখে তাঁর দীন-ই-ইলাহী , অথবা ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি দেখে তাঁর অবিস্মরণীয় সেই দু-লাইন –“পথের অসুখ, তাই / পথিকেরা ভালো নেই আর” , অথবা তাঁর অনবদ্য আরো একটি টু -লাইনার মন্থরা – “একটি কথার দুটি তিনটি মানে / তুমি যখন মন্ত্র দাও কানে” এইসব লেখা তৈরি হয় । মূলত কথা বলার ভাষার ঝোঁক লক্ষ্য করা গিয়েছিল সেখানে আর সেখানে মিশে ছিল একটা ক্ষোভ । চাপা কিন্তু সময়ে সময়ে তীব্র আকার ধারণ করত কবিতায় । কবিতা তাঁর কাছে সেই জানালাই ছিল যা তিনি খুলতে পেরেছিলেন । ফলে তাঁর মুগ্ধ পাঠকের যে তাঁর সম্পর্কে একটা ক্ষোভ যে তিনি কেন প্রতিকবিতার দিকে চলে গেলেন যা তাঁর জগৎ নয় , সেই পাঠককেও কোনো কৈফিয়ত দেননি তিনি । কারন তিনি আসলে জড়িয়ে পড়েছিলেন ভাবনার সঙ্গেই । কিন্তু ক্রমশ সেই কবিতাতেই আরও আরও জড়িয়ে পড়েছিলেন । কোনো ব্যক্তির জন্য নয় , গৌতমদার জীবনই তাঁকে ছিঁড়ে এনেছিল মহাজগত থেকে রাস্তায়, পথে ও বিপথে ।
সারাজীবন আর্থিকভাবে স্বচ্ছলতা পেলেন না গৌতমদা । একেবারে একটা নিশ্চিত পার্মানেন্ট চাকরি স্রেফ ছেড়ে দিলেন । ঘুষ নেবেন না বলে !! স্রেফ গেলেনই না সেই কর্মস্থলে !! তাঁর কথায় তখন কলকাতার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পত্রিকায় কবিতা ছাপা হচ্ছে , বয়সও কম । ফলে একটা অনমনীয় মনোভাব ছিল যে কিছুতেই অসততার সঙ্গে আপোষ নয় । এবং এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কারণে সারাজীবন আর্থিক অস্বচ্ছলতাকে নিয়ে বেঁচে থাকতে হল তাঁকে । পরবর্তীতে যে কাজ করেছেন তা স্থায়ী ছিল না । বাবার দীর্ঘদিনের অসুস্থতা এবং তার ব্যবহারে প্রায় সর্বসান্ত হয়ে যাওয়া তার পরিবারে আসে হঠাৎ আরও একটি বিপর্যয় । যে ব্যাংকের অস্থায়ী কর্মী হিসাবে কাজ করেছেন প্রায় তিন দশকেরও বেশি সময়, সেই ব্যাংক হঠাৎ দেউলিয়া হয়ে বন্ধ হয়ে যায় । সেইসময় , কর্মহীন অবস্থায় ,বাংলা ভাষার এই অসামান্য কবিকে কী কী না কাজ করে যেতে হয়েছে !! মালিকের সন্তানকে স্কুল থেকে দিয়ে আসা নিয়ে আসা , নার্সিংহোমের ফরমাস, এমনকি দর্শনার্থীদের চটিজুতোও ঠিক করে দিত আমাদের গৌতম-দা । আমরা কিছুই করতে পারিনি । কিচ্ছু না । শুধু এই অনতিপ্রসর অর্থব্যবস্থার নিষ্ঠুর জগৎ থেকে মনে হয় তিনি অন্য একটা পৃথিবীকে দেখতে পেয়েছিলেন । সেই পৃথিবী তিনি দেখতে পেয়েছিলেন যেখানে ন্যাকামো নেই, ভয়ংকর আর ক্রুর রাজনীতি আছে, তবু আছে দুর্নিবার বেঁচে থাকার আহ্বান, আছে পুরান-আহৃত চরিত্রকে মাটির পৃথিবীতে নামিয়ে তাকে দেখে নেওয়া । সেজন্যেই একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন মূলত উচ্চতাহীনতার কথাই বলতে চেয়েছেন তিনি । হে প্রিয় মহাজাগতিক বন্ধুগন , কবি গৌতম দাসের অবস্থান নিয়ে আপনাদের ক্ষোভ থাকতে পারে , থাকাও হয়ত স্বাভাবিক, কিন্তু তাঁর দ্বিতীয় পর্বটির দিকে নিয়ে তাঁকে নিয়ে গিয়েছিল স্বয়ং জীবন, জীবনই । এবং তার ইঙ্গিত কি ছিল না প্রথম পর্বের শেষ বই ‘তৃতীয় বিশ্বের ফুপি’-তে ?

আর এই দুই পর্বের দোলাচলে থাকবে একটি দীর্ঘ কবিতার বই -পরানপুঁটুলি । মহাজগত , অবলুপ্ত ছায়াপথ আর মাটিপৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগ আর তাদের দোলনক্রমের ঘোর এইসব দীর্ঘ দীর্ঘ কবিতায় পাওয়া যাবে । যে বই বাংলা কবিতাতেই দুর্লভ , বলা যায় । ছন্দ কাটছে কখনও , সে কথা গৌতমদাকে বললে চুপ থাকত, পাল্টাত না শব্দগুলো , হয়ত পাল্টাতে চাইত না !!কবিতা হয়ে ওঠাই যে আসল , নিখুঁত ছন্দপ্রসার নয় —লিপিকুশলতা আর কবিতা ‘নির্মাণ’ করার কৃত্রিমতা থেকে বহুদিন আগেই বেরিয়ে এসেছিলেন গৌতম দাস । দুর্ভাগ্য এই যে, বাঙলা কবিতার পাঠক একেবারেই লক্ষ্য করতে ভুলে গেলেন এই অসামান্য কন্ঠস্বরটিকে । দীর্ঘ কবিতার বইটি কবি জয় গোস্বামীকে উৎসর্গ করা । প্রথম পর্বের শেষ কবিতার বইটি উৎসর্গ করা অরুণ মিত্র আর অলোকরঞ্জন-কে । অথচ তাঁরা হয়ত জানতেই পারলেন না কী আত্মস্থ একজন কবি নিজের মনে এঁদের ভালোবেসেছেন , আর এতখানি ভালোবেসেছেন বলে তাঁদের কাছাকাছি যাওয়ার দরকার কখনও হয়নি তাঁর ।

গৌতম দাস লিখেছিলেন – “যার দুঃখ গায়ে লাগে সেই তো আত্মীয় !” তবু যিনি লিখেছিলেন এই আশ্চর্য অনুভব তার দুঃখ ক’জনের গায়ে লাগত ? লাগলে চারদিক এত চুপচাপ কেন, গৌতম-দা ? তাহলে কি শেষমেশ এই শহর এই খর্বকায় মানুষেরা তোমার মৃত্যু সমর্থন করে ? যদি না করে এমন নীরব অবহেলায় কেন চলে যেতে দিল তোমাকে বাংলা কবিতার জগত ! সকালবেলায় কবি গৌতম দাসের শববহনের গাড়ি যখন চলে যাচ্ছিল, আমি দেখতে চাইনি , কারন সেই গাড়ি হয়ত যে-যে রাস্তায় গেছে সেখানে সেখানে ফেলে রেখে গেছে সেই অন্ধকার ছায়া । হতাশার, কষ্টের, অন্ধকারের, অস্বীকৃতির । সারা জীবন যে ছায়া কাঁধে করে হেঁটেছিলেন কবি গৌতম দাস, মৃত্যুর পরেও হয়ত শহরের এ মাথা থেকে ও মাথায় হেঁটে যাবেন এই জেদি অথচ স্বল্পভাষী মানুষটি । আরও একজন কাউকে তার অন্ধকার পেয়ে বসবে। মৃত্যুর পরেও সত্যি সত্যি তিনি হেঁটে যাবেন আরও এক জন্মের দিকে , আরও খর্বকায় মানুষের সঙ্গে বাঁচবেন বলে । রেজারেকশান-এর গল্পের মতো ।

অরিন্দমের মতো কেউ কেউ মেঘের আড়াল থেকে তাঁকে দেখতে পাবে ।

গৌতম দাসের প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ

যত পাপ মেঘ হয়ে আছে,1984
পালাগান 1992
আশ্চর্য চাদর,বইমেলা,1994
তৃষ্ণা, 1994
তৃতীয় বিশ্বের ফুঁপি 1997
দেয়াললিখন জানু 2000
পার্লামেন্ট নিউজ 1998
জিরো আওয়ার 2002
ও দুর্গারা , বইমেলা ১৪১৬
হ্যাঁ যা বলছিলাম
অন্তর আলীর নামচা জুন 2019

CATEGORIES
TAGS
Share This

COMMENTS

Wordpress (16)
  • comment-avatar
    yashodhara ray chaudhuri 3 years

    যেহেতু অনেক।আবেগ থেকে লিখেছ এত কাছের চেনা মানুষকে নিয়ে, এত ভাল, এত
    দরদি একটা লেখা পেলাম আমরা, অসামান্য ভাবে তুলে এনেছ ওঁর কথা, অচেনা এক গভীর কবির গোটা জীবন নিয়ে কাজ নিয়ে লিখলে। আরো ভাল লাগবে তাঁর কটি কবিতা যদি আবহমান ছাপে।

    • comment-avatar
      Kuntal 3 years

      হ্যাঁ দিদি উনি ছিলেন আমার প্রাণের মানুষ আমার ভালোবাসার মানুষ

  • comment-avatar
    মণিশংকর বিশ্বাস 3 years

    অসামান্য লিখেছেন কুন্তল! স্মরণকালের ভিতর শ্রেষ্ঠ মৃত্যুগাথা। এ বড় বেদনার কথা, বাংলাভাষার এই অসামান্য কবি সারাজীবনই প্রায় আড়ালেই থেকে গেলেন। আমি নিশ্চিত আপনার লেখাটির অভিঘাতেই হোক অথবা প্রয়োজনের তাগিদেই হোক, এবারে ওঁর একটা কবিতা সমগ্র প্রকাশিত হবে। হওয়া প্রয়োজন।

    • comment-avatar
      Kuntal 3 years

      আমিও সেই আশাতেই আছি ,দাদা

  • comment-avatar
    DIPAK RAY 3 years

    হয়

  • comment-avatar
    দীপক রায় 3 years

    হয়

  • comment-avatar
    দীপক রায় 3 years

    গৌতম দাসের কাব্যভুবনের দুই দিগন্ত শুধু নয় তাঁর সাহস তাঁর স্পর্ধা আর তাঁর মর্মান্তিক কবি জীবনের কথা বলেছেন কুন্তল মুখোপাধ্যায়।

    • comment-avatar
      Kuntal 3 years

      দাদা, বড়ো কষ্টের সেই জীবন যে জীবন বয়ে নিয়ে এসে আমাদের সামনে ফেলে চলে গেলেন গৌতম-দা

  • comment-avatar
    দুর্জয় আশরাফুল ইসলাম 3 years

    সত্যি বলতে অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অল্প কতক কবিতার থেকে কয়েকটা পড়েছি মাত্র উনাকে। কোনো সাহিত্য পত্রিকায়ও হয়তো, অবশ্য সাহিত্য পত্রিকায় না-পড়ার সম্ভাবনাও বেশি। ফলে এই কবিকে জানাশোনা, তার কবিতাকে অনুভবের জায়গাটা তৈরি হয়নি। এই লেখাটি পড়তে গিয়ে দেখলাম, কবিতার নিভৃতচারী এক সৈনিক ছিলেন উনি। আর কবিতার যে স্বর সামান্য পড়তে পারলাম সেও স্বাতন্ত্র এক ভঙ্গিমায় তাঁকে আরও পড়বার দিকে ইশারা দিলো। পড়বো নিশ্চয়ই। আপনাকে ধন্যবাদ।

    • comment-avatar
      Kuntal Mukherjee 3 years

      ভালোবাসা দুর্জয় ভাই

  • comment-avatar

    ভালো লাগলো পড়ে! কবি গৌতম দাসের কবিতার বইগুলো পড়ার ইচ্ছে হচ্ছে…

    • comment-avatar
      Kuntal 3 years

      দেখা যাক কিছু করা যায় কীনা

  • comment-avatar
    Pankaj+Chakraborty 3 years

    খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় লেখা। কান্না আর শপথ যেন মিশে গেছে।

    • comment-avatar
      Kuntal 3 years

      গৌতম নিজেই যে বিশ্ব রচনা করেছেন, এ লেখা তার কাছে হয়ত কিছু নয়, তবু এভাবেই এই অশৌচকালে তাঁকে নিয়ে কিছুক্ষণ ভাবলাম , এই আর কী

  • comment-avatar
    অভীক বন্দ্যোপাধ্যায় 3 years

    সত্যিই তো পড়িনি কবি গৌতম দাসকে। তোমার লেখাটা পড়ে পড়তে ইচ্ছা করছে কুন্তল।

    • comment-avatar
      Kuntal 3 years

      পড়াবো আপনাকে, অভীক-দা

  • demon slauer rule 34 lena the plug leak amateurtrheesome.com cumming in milfs mouth mujer haciendo el amor a un hombre, belle delphine of leaked emma watson in porn xxxamat.com big booty in public hidden cam gay sex, sit on face porn g a y f o r i t forcedpornanal.com please screw my wife female celebrity sex tapes