কবিতা কীভাবে বলতে হয়
লিওনার্দ কোহেন
ভূমিকা ও অনুবাদ – অনুপ সেনগুপ্ত
লিওনার্দ কোহেনের ‘কবিতা কীভাবে বলতে হয়’ (How to speak poetry) কি গদ্যের ছদ্মবেশে কবিতা, না কি গদ্যকবিতা? অবশ্য এটি যে বইয়ের অংশ, সেই Death of a Lady’s Man-এর পরিচয় নভেল-জার্নাল। বইটির বহু জায়গায় আমরা কবিতার দেখা পাই। কিন্তু এই লেখা একেবারেই অন্যরকম। আমরা এভাবেও ভাবতে পারি, আমাদের ধাঁধায় ফেলে গদ্য ও কবিতা এখানে একে অপরের ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে, কিংবা গদ্য ও কবিতা পরস্পরপ্রবিষ্ট, সংকরায়িত। এই লিখনে কোহেন দুই সত্তায় নিজেকে বিচ্ছিন্ন করেছেন – একজন সম্ভাব্য আজ্ঞাধীন যে জগতের নির্বিশেষ কোনও কবি আর অন্যজন আজ্ঞাকারী। একমাত্র কবিতার জয়ায়ুতেই তাদের স্বাভাবিক বিকাশ সংগঠনীয়। শেষে এই দুই সত্তা মিশে যায়। ভাষ্য অংশে এই আধুনিক নার্সিসাস আবার তাদের বিচ্ছিন্ন করেন, আর যেভাবে আত্মনিরাকরণ বা নিজেকে নস্যাৎ করেন, শুধুমাত্র কবিতা-মৈথুনেই এতটা অর্গাজ়ম সম্ভব। লিওনার্দ (নরম্যান) কোহেনের (১৯৩৪ – ২০১৬) পরিচয় অনেকেই জানেন, তবু আরেকবার বলা যেতে পারে। জন্ম কানাডার মন্ট্রিয়েলে। এই ইহুদি মন্ট্রিয়েলারের প্রথম কাব্যগ্রন্থ Let Us Compare Mythologies প্রকাশিত হয় ১৯৫৬-য়। পরবর্তী কিছু কাব্যগ্রন্থ – The Spice Box of Earth (১৯৬১), Flowers for Hitler (১৯৬৪), Parasites of Heaven (১৯৬৬), The Energy of Slaves (১৯৭৩), Two Views (১৯৮০), Book of Mercy (১৯৮৪), Fifteen Poems (২০১২) । কোহেন মনে করতেন কবিতা হচ্ছে ‘a verdict rather than an intention’। কবিতা ছাড়াও লিখেছেন নাটক, উপন্যাস ও নভেল জার্নাল। তাঁর আর এক পরিচয় গায়কের। বস্তুত গায়ক হিসেবেই তাঁর খ্যাতি অধিক। নিজে লিখে, সুর দিয়ে, নিজেই গেয়েছেন। বিশ শতকের ছয়ের দশকে পশ্চিমী সংস্কৃতির অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য সৃষ্টিশীল মানুষের এই ‘আত্ম-উপস্থিতি’, চলচ্চিত্রের auteur theory (author theory)-র অদৃশ্য তৃতীয় হাত হয়তো তা নির্মাণে ভূমিকা নিয়েছিল। ছয়ের দশকে পপ গানে এই সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যের চৃড়ান্ত প্রকাশ দেখা যায়। পোস্ট স্ট্রাকচারালিস্টরা ‘অথরের মৃত্যু’ ঘোষণা করলেও উদয় হলেন বব ডিলান, লিওনার্দ কোহেন, পল সাইমনের মতো আধুনিক অরফিউসরা। পার্থক্য শুধু লাইয়ারের বদলে গিটার, মিথের বদলে ইন্দ্রিয়গ্রাহ্যতা, গাথা কাব্যের পরিবর্তে আত্মচরিতের ভাঙা টুকরো। অনেকে যেখানে গানের কথায় কাব্যিক আবহ আনলেন – এঁরা, বিশেষত কোহেন, গানকেই কবিতায় উত্তীর্ণ করে দিলেন। প্রকৃতপ্রস্তাবে কোহেনের কাছে পারফরম্যান্স হয়ে উঠল ‘দ্য পারফরমিং সেলফ’। সেখানে যে-কোনও মুহূর্তে নতুন ‘সেলফ’ উদ্ভাবন করা যেতে পারে অভিব্যক্তির প্রয়োজনে। আধুনিক মানুষের ক্লান্তি, নিঃসঙ্গতা, আকাঙ্ক্ষা, কখনও-বা তার সঙ্গে ব্ল্যাক হিউমর কোহেনের কণ্ঠে, সুরে, গানের কথায় প্রকীর্ণ হয়ে রইল। তাঁর গান শুনলে কারও মনে হতেই পারে এক বিষণ্ণ দৈত্য আর সবকিছু ফেলে যেন বারবার নিজেকেই আহার করছেন।
|| কবিতা কীভাবে বলতে হয় ||
প্রজাপতি শব্দটাই ধরো। এই শব্দ ব্যবহার করতে গিয়ে প্রয়োজন নেই এক আউন্সের কম ওজনের মিহি কণ্ঠস্বর তৈরির, কিংবা শব্দটার গায়ে ধুলোমাখা দুটো ছোটো ডানা আটকানোর। প্রয়োজন নেই কোনও রোদঝলমল দিন বা ড্যাফোডিল ক্ষেত উদ্ভাবনের। প্রয়োজন নেই প্রেমার্ত হওয়ার বা প্রজাপতির প্রেমে পড়ার। প্রজাপতি শব্দটা তো আর প্রকৃত প্রজাপতি নয়। একটা শব্দ আর প্রজাপতি। তুমি যদি এ-দুটো বিষয় গুলিয়ে ফ্যালো, তবে তোমাকে নিয়ে হাসাহাসির এক্তিয়ার আছে মানুষের। শব্দটা নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি কোরো না। তুমি কি এই ধারণা দিতে চেষ্টা করছো, অন্যদের চেয়ে প্রজাপতিদের আরও নিখুঁতভাবে ভালোবাসো, বা তাদের স্বভাব বেশি বোঝো? শব্দ হিসেবে প্রজাপতি নিছকই এক তথ্য, উপাত্ত। তোমার কোনও সুযোগ নেই ফুলের ওপর উঠে বা ফুলের চারদিকে চক্কর দিয়ে তার সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতানোর। সুযোগ নেই সৌন্দর্য আর কোমলতাকে প্রতীকায়িত করার কিংবা অন্য কোনোভাবে প্রজাপতি সাজার। শব্দের ভূমিকায় অভিনয় কোরো না। কখনোই নিজে শব্দের রূপ ধারণ করে বোসো না। ওড়ার কথা যখন বলো, তখন ভূমিত্যাগ কোরো না। মৃত্যুর কথা বললে চোখ বন্ধ করে মাথাটা সজোরে একদিকে হেলিয়ে দিয়ো না। প্রেমের কথা যখন বলো, তখন তীব্র চোখে একদৃষ্টে আমার দিকে তাকিয়ো না। প্রেমের কথা বলার সময় আমার কাছে পাত্তা পেতে গেলে পকেটে কিংবা পোশাকের নীচে হাত ঢুকিয়ে স্বমৈথুন করো। সোচ্চার প্রশংসার উচ্চাশা ও তার ক্ষুধা তোমাকে যদি প্রেম নিয়ে বলতে চালিত করে, তাহলে তোমার শেখা উচিত কীভাবে নিজেকে অথবা বিষয়বস্তুকে অপদস্থ না করেই তা করা যায়।
কী অভিব্যক্তি এই যুগ দাবি করে। কোনও অভিব্যক্তিই আসলে যুগ দাবি করে না। এশিয়ার শোকাতুর মা-দের আলোকচিত্র আমরা দেখেছি। তোমার অস্থির অঙ্গপ্রত্যঙ্গের কাতরতায় আমরা মোটেই উৎসাহী নই। এই সময়ের বিভীষিকার সঙ্গে খাপ খায় তেমন কিছুই নিজের মুখশ্রীতে ফোটাতে পারবে না। চেষ্টাও কোরো না। তাহলে যারা বিষয়কে গভীরতায় অনুভব করে, তাদের কাছে নিজেকে উপহাসের পাত্র করে তুলবে। সন্ধিচ্যুত যন্ত্রণাবিদ্ধ হাত-পায়ের মানুষ আমরা সমাচার-চলচ্চিত্রে দেখেছি। তোমার তৃপ্ত আহার এমনকি যথাযোগ্য আয়ের কথা প্রত্যেকেই জানে। তুমি সেইসব মানুষের সামনে নিজেকে উপস্থাপিত করছ, যাদের বিপন্নতার অভিজ্ঞতা আছে। এ-কথা মনে রেখেই তোমার স্থিতধী হওয়া উচিত। উচ্চারণ করো শব্দরাজি, প্রকাশ করো সব তথ্য, তারপর সরে যাও। তোমার যন্ত্রণা প্রত্যেকে জানে। ভালোবাসা সম্পর্কে যা জানো, শ্রোতা সমীপে তোমার উচ্চারিত প্রতিটি ভালোবাসার পঙ্ক্তিতে তা বলা সম্ভব নয়। সরে দাঁড়াও, ওরা জানবে তুমি কী জানো। কারণ ওরা তা ইতিমধ্যেই জেনে গেছে। তোমার পক্ষে ওদের শিক্ষাদানের কিছু নেই। তুমি ওদের চেয়ে বেশি সুদর্শন নও, জ্ঞানীও নও। ওদের কাছে গলা ফাটিও না। বর্মপরিহিত লিঙ্গের নীরস প্রবেশ সজোরে করতে যেয়ো না। তা অপ্রীতিকর রমণ হবে। যদি তোমার জননাঙ্গের রেখাবিন্যাস অবলোকনীয় করো, তাহলে যা অঙ্গীকার করেছিলে, সেটুকুই অর্পণ করো। আর মনে রেখো, মানুষ বিছানায় কোনও শারীরিক কসরত প্রদর্শনকারীকে চায় না। আমাদের দরকারটা কী? স্বাভাবিক পুরুষ, স্বাভাবিক নারীর কাছে আসা। ভান কোরো না যে তোমার অনুগত বিপুল দর্শকশ্রোতার প্রিয়তম গায়ক তুমি, এই বিশেষ মুহূর্তে তারা তোমার জীবনের উত্থানপতন অনুধাবন করছে। বোম, আগ্নেয়াস্ত্র এবং এইসব নষ্টামি প্রকৃতপক্ষে জনপদ ও বৃক্ষের চেয়ে অনেক বেশি কিছু ধ্বংস করেছে। ধ্বংস করেছে মঞ্চও। এই নির্বিশেষ ধ্বংসের হাত থেকে তুমি কি ভাবো তোমার বিশ্বাস, অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ পরিত্রাণ পাবে? আর কোনও মঞ্চ নেই। কোনও পাদপ্রদীপ নেই। মানুষের মধ্যে তুমি। তাই বিনয়ী হও। শব্দরাজি উচ্চারণ করো, প্রকাশ করো সব তথ্য, তারপর সরে দাঁড়াও। স্বনির্ভর হও। নিজের কর্মনিষ্ঠার অভ্যন্তরে থাকো। নিজেকে ঠকিও না।
এ এক অন্তনিসর্গ চিত্র। অন্তরালবর্তী। একান্ত। বিষয়-স্বাতন্ত্রের নির্জনতাকে শ্রদ্ধা করো। নৈঃশব্দ্যে লিখিত এর প্রতিটি অংশ। তা ব্যক্ত করাই এই ক্রিয়াশীলতায় সাহস, বিকৃত না করাই শৃঙ্খলা। দর্শকশ্রোতাকে অনুভব করতে দাও ব্যক্তিগত বিষয়ে তোমার ভালোবাসা, এমনকি যদি ব্যক্তিগত বলে কিছু নাও থাকে – ভালো বেশ্যারা যেভাবে তা করে। কবিতা প্রচারবুলি নয়। তোমাকে বিজ্ঞাপিত করবে না। তোমার অনুভূতিশীলতার খ্যাতি বিস্তৃত করবে না। তুমি যৌনবীর নও। মারাত্মক মেয়েছেলেও নও। এতটাই অপ্রয়োজনীয় ভালোবাসার দুর্বৃত্তরা। আর তুমি নিয়মানুবর্তিতার একনিষ্ঠ ছাত্র। শব্দের ভূমিকায় অভিনয় কোরো না। তা করলেই সেইসব শব্দ শুকিয়ে নির্জীব হয়ে যাবে। আর সেক্ষেত্রে তোমার উচ্চাশাসহ আমরা পরিত্যক্ত হব।
যেভাবে ধোপার তালিকা মেলাও, তেমনই যথাযথ নির্ভুলভাবে শব্দগুলো বলো। ‘লেস ব্লাউজ়’ শব্দটার ক্ষেত্রে আবেগায়িত হয়ো না। ‘প্যান্টিস’ বলার সময় যেন তোমার লিঙ্গোত্থান না ঘটে। শুধু একটা তোয়ালের জন্যে হি-হি করে কেঁপো না। বিছানার চাদর যেন তোমার চোখে স্বপ্নায়িত চাহনি ডেকে না আনে। রুমালে ফুঁপিয়ে কান্নার কোনও প্রয়োজন নেই। সেইসব মোজাও সঙ্গে নেই যে তোমাকে অপরিচিত সুদূর যাত্রার কথা মনে করাবে। এটা নেহাতই তোমার ধোপাখানা। এসবই তোমার জামাকাপড়। ওদের মধ্যে দিয়ে উঁকি মেরো না। শুধু পরে ফ্যালো।
কবিতা বার্তা ছাড়া কিছু নয়। এ আমাদের অন্তরস্থ দেশের সংবিধান। যদি একে মহৎ অভিপ্রায়ে আবেগতাড়িত গাঁক-গাঁক গলায় বক্তৃতা করো, তবে তুমিও যাদের অবজ্ঞা করো সেই রাজনীতিকদের থেকে তেমন ভালো নও। সেক্ষেত্রে তুমি তেমনই কেউ যে পতাকা দুলিয়ে একপ্রকার আবেগসর্বস্ব দেশপ্রেমে সস্তা দৃষ্টি আকর্ষণ করে। কলা নয়, শব্দদের বিজ্ঞান হিসেবে ভাবো। এরা তৈরি করে এক প্রতিবেদন। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির এক্সপ্লোরার্স ক্লাবে ধরো তোমাকে বলতে হচ্ছে। এইসব মানুষ পর্বতারোহণের সব ঝুঁকি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। ওরা তোমার মতামতকে মেনে নেওয়ার জন্যেই তোমাকে সম্মানিত করেছে। এখন তুমি যদি ওদের অতীত ভুলগুলো মনে করাও, তবে তা হবে ওদের আতিথেয়তার প্রতি অপমান। বরং পর্বতটার উচ্চতা, কী কী সরঞ্জাম তুমি ব্যবহার করেছো, সেইসব তাদের জানাও। পর্বতগাত্রের প্রকৃতি এবং শিখরে উঠতে যে-সময় লেগেছিল, বলার ক্ষেত্রে সেইসব বিষয়ে জোর দাও। ওদের সামনে হাঁপিয়ো না, দীর্ঘশ্বাস ফেলো না। সত্যিই যদি হাঁপানো ও দীর্ঘশ্বাসের যোগ্যতা তোমার থাকে, তবে সেসব তোমার শৃঙ্গজয়ের নিজস্ব মূল্যায়নে থাকবে না। থাকবে শ্রোতাদের তারিফে। থাকবে পরিসংখ্যানে। তোমার কাঁপা-কাঁপা উচ্চস্বর বা হাত দিয়ে বাতাস কাটার মধ্যে থাকবে না। থাকবে তথ্যরাজির মধ্যে। আর থাকবে তোমার উপস্থিতির শান্ত সুসংবদ্ধতায়।
অস্থির অঙ্গভঙ্গি তাই পরিহার করো। নিস্তেজ হতে ভয় পেয়ো না। ক্লান্ত হতে লজ্জা পেয়ো না। তুমি যখন ক্লান্ত, তখনই তোমায় দেখতে ভালো লাগে। তখন মনে হয়, তুমি চিরকাল ধরে কথা বলে যেতে পারো। আমার আলিঙ্গনে এসো। তুমিই আমার সৌন্দর্যের প্রতিচ্ছবি।
|| ভাষ্য – কীভাবে কবিতা বলতে হয় ||
শুধুমাত্র বিদায় জানানো ছাড়া এইসব পৃষ্ঠায় পুনরায় উপস্থিত হতে চাইনি। বিবাহ-পর্বের সবচেয়ে কোমল পর্বের জন্যে আমার মনে হয় ওকে একা ছাড়াই উচিত ছিল – পাত্র যেখানে ঘুমিয়ে আর পাত্রী জন্ম নিচ্ছে। ভেবেছিলাম সামঞ্জস্য রক্ষার জন্যে ওকে ভরসা করা যায়। পারল না। এটা ওর পক্ষে একটু বেশি ম্যাড়ম্যাড়ে। ওকে ওর চোদ্য রবিবাসরীয় বিদ্যালয়ের মুখ দিয়ে আবোলতাবোল বকতে হয়। ভাবা হয়েছিল আমরা বসার আসনে ফিরে যাব আর ভালোছেলের সেই সেকেলে শিষ্টাচার অনুশাসনের মাতলামি শুনব। এই পাপের শাস্তি না হয়ে পারে না। এশিয়ার বিধবাদের নিজের দিকে ডাকার স্পর্ধা ওর কী করে হয়! কী দুঃসাহসে নিজের অশ্লীল সাংস্কৃতিক বিভ্রমের কলঙ্কিত মার্বেল ব্যালকনি থেকে ও মানুষের স্তব্ধতার প্রতিজ্ঞা ভেঙে ভাষণ দেয়! এইজন্যেই ও ঘৃণ্য। এই ধর্মীয় বিজ্ঞাপনের মাশুল ওকে দিতে হবে। নিজের তরল বকবকানি বিচিতে বয়ে বেড়াতে হবে। টেডি ভাল্লুক হয়ে বাকি জীবন কাটাক। বাম আর দক্ষিণপন্থার হর্তাকর্তারা মরুক। মর শালা, রহস্যের বিভাগীয় প্রধান! ঘেন্না করি ওর চার-অক্ষর থোবড়া আর গুরুগম্ভীর ভাব। কখনও ওকে সঙ্গে নিয়ে উৎকৃষ্ট চলচ্চিত্র দেখো না। মিউজ়িক-হলে উচ্ছল সুরগুলোর একটাও ওকে শুনতে দিয়ো না। কখনও ওকে ফের গাইতে দিয়ো না। ওকে ওর নিজেরই দুর্গন্ধময় অধ্যয়নরত লাশের সঙ্গে বাইরে বসিয়ে রাখো, মঞ্চে যখন সোনালি আলোয় সেই স্বয়ংবিবস্ত্রীকরণদক্ষ নৃত্যপটিয়সী আমাদের প্রত্যেকেরই আগ্রহ অর্জন করবে।