ঔরশীষ-এর কবিতা
ভস্মের আখর-১০৩
মেরে মুখ ভেঙে দেবে, তোলপাড় হুল্লাট হবে প্রিয়
ঘরের ভিতর পুরে, বনফায়ার হবে সারারাত-
প্রতিবাদী হতে হলে, একটি মোম তুমি জ্বেলে দিও,
রাক্ষসের মহোৎসবে, মাংস পোড়া নবাবী বারাত
তৈরি রেখো… তৈরি থেকো, এমন নির্জন গৃহসুখে
সূর্য যারা আনতে গেল, অস্ত যাবে সন্ধ্যা তারা হয়ে-
বোধ যার গম্য নয়, নাগরিক অস্থির অসুখে
মেরে দাও, খুন করো, বোবা জন্ম সব নেবে সয়ে
পালোয়ানি দিন কাটে, রাত নামে তুমুল সন্ত্রাসে
রাজ্যের নৈরাজ্য আজ ছুঁয়েছে পারদ অসহ্যের
লাশের ওপর লাশ, সিঁড়ি ভাঙে নির্লজ্জ উল্লাসে;
পতাকা বাহক জানে, কাটা লিঙ্গ জমে আছে ঢের
এই তো কাঙালপনা, মৃত কোনও ঈশ্বরের হাত
কঙ্কাল ব্রাহ্মণ এসো, দাবা খেলি.. করি কিস্তিমাত
……
ভস্মের আখর-১০৪
ধিক্কার কুড়িয়ে নিয়ে, লেখার খাতায় ডুবে যাচ্ছি
থু থু কফ চেটে যাচ্ছি, ক্ষুরধার সমালোচকের-
ক্ষুধার্ত প্যাঁচার মত নিজের যৌবন ছিঁড়ে খাচ্ছি
শব্দের শরীর কাঁধে, ভিড় ঠেলছি কলেজ স্ট্রীটের
তির্যক আলোর ভ্রম চোখ থেকে মোছেনি এখনো,
পড়ন্ত বিকেল জানে, অন্ধকার কারো বন্ধু নয়-
বটের ঝুুরির মত সরীসৃপ স্মৃতি তার কোনও,
রেখে যায় দুঃখ এক, ধূর্ত এই জন্মের সঞ্চয়
কবির মতন বাঁচবো, এই ভুল করেছি ভীষণ
বিবসনা সরস্বতী নাচ করে মাথার ভিতর
বিষণ্ণ অসুখ এক, ভালোবেসে রেখেছি গোপন
হদয়ে উইয়ের ঢিবি, অস্থির পাখিরা বাঁধে ঘর
নিজের সকল সুখ, প্রচন্ড অশ্লীল মনে হয়-
যেটুকু বলিনি আজো, লিখে রাখি খেরোর খাতায়
দুটি পয়ারই বেশ, বেশ ভাল লাগলো ।
‘পয়ার’ নয়, ‘মহাপয়ার’ পড়তে হবে ।