অজিত সিং বনাম অজিত সিং (ষষ্ঠ পর্ব) <br /> তৃষ্ণা বসাক

অজিত সিং বনাম অজিত সিং (ষষ্ঠ পর্ব)
তৃষ্ণা বসাক

প্রথমে ছিল বঙ্গলক্ষ্মী চানাচুর, তারপর এল আজাদ হিন্দ চানাচুর, তারপর একের পর এক বিপ্লব চানাচুর, সর্বহারা চানাচুর, উন্নততর সর্বহারা চানাচুর, এখন চলছে বিশ্ববাংলা। এখানেই কি ভাবছেন গল্প ফুরিয়ে গেল? এবার আসছে একে ফিফটি সিক্স চানাচুর। নাম যাই হোক, সোল এজেন্ট আমি।’ ‘বেওয়ারিশ’ গল্পের চানাচুরওলা এবার ঢুকে পড়েছে বাংলার শিল্পক্ষেত্র থেকে শিক্ষাজগতের ক্ষমতার অলিন্দে।খুন, যৌনতা, প্রতিশোধ, নিয়তিবাদের রুদ্ধশ্বাস সুড়ঙ্গে সে টের পাচ্ছে- -বহুদিন লাশের ওপর বসে বারবার হিক্কা তুলেছি আমরা -বহুদিন মর্গের ভেতরে শুয়ে চাঁদের মুখাগ্নি করেছি আমরা -অন্ধ মেয়ের মউচাক থেকে স্বপ্নগুলো উড়ে চলে গেছে (জহর সেনমজুমদার) এই সবের মধ্যে বাংলার কি কোন মুখ আছে আদৌ? থাকলে কি একটাই মুখ? না অনেক মুখ, সময়ের বিচিত্র রঙে চোবানো? বিগত প্রায় অর্ধশতাব্দী জুড়ে বাংলার অজস্র মুখের ভাঙ্গাচোরা টুকরো খুঁজে চললেন তৃষ্ণা বসাক, তাঁর নতুন উপন্যাস ‘অজিত সিং বনাম অজিত সিং’-এ । সব কথনই রাজনৈতিক, সেই আপ্তবাক্য মেনে একে কি বলা যাবে রাজনৈতিক থ্রিলার? সিটবেল্ট বাঁধুন হে পাঠক, ঝাঁকুনি লাগতে পারে। প্রকাশিত হল উপন্যাসের ষষ্ঠ পর্ব।

আগের পর্বগুলি পড়তে ক্লিক করুন — (১), (২), (৩), (৪), (৫)

15417632 – abstract white masks on wooden background

তিনি হাঁটছিলেন। হাঁটতে হাঁটতে তিনি একটি গলিতে ঢুকে পড়লেন। কাজটা খুব সহজ ছিল না। কারণ শহর জুড়ে দুর্গাপুজো হচ্ছে। গলি আটকে প্যান্ডেল। তাদের জলুশে কোনটা গলি, কোনটা রাজপথ গুলিয়ে যায়। তবু তাঁর চিনতে খুব একটা অসুবিধে হল না। মসজিদবাড়ি লেনের ভেতরে ঢুকে আর একটা তস্য গলি । কোটি যোগিনীর গলি। সেখানে রাস্তার দুধারে চায়ের দোকান, কর্পোরেশনের প্রাইমারি স্কুল, উল্টোদিকে দোতলায় বারান্দায় পাখির খাঁচা, রাস্তার কলে বাহুতে উল্কি আঁকা মহিলারা, আর ঠিক তার উল্টোদিকে এই তো, কমরেড নন্দ বিশ্বাস স্মৃতি ভবন। কোটি যোগিনীর গলিতে কমিউনিস্টরা কী করছে?
শরৎ বেশ লপেটাময়। এই গলিপথ অনন্ত রহস্যের উৎস। একটি ঘিঞ্জি প্রাইমারি ইস্কুলের উল্টোদিকের দোতলায় খাঁচায় ঝোলানো টিয়াপাখি। পাশে দুটি মেয়ে আলুথালু বুক খানিক খুলে দাঁড়িয়ে আছে। তিনি ভেবে পেলেন না এই ফুল্টু বিনোদন ছেড়ে কমরেড নন্দ বিশ্বাস স্মৃতি ভবনে যায় কোন মূর্খ? আর নন্দ বিশ্বাস মালটা কে ছিল কে জানে? দু-একজন ছাড়া পার্টির ছোট বড় কোন নেতার সঙ্গেই আই কন্ট্যাক্ট হয়নি কোনদিন। প্রশ্ন ওঠে, অবিশ্যি ওঠে, তাহলে এই স্থানে আসার লাফড়া তিনি স্বীকার করলেন কেন? তিনি? বাবু শ্রীযুক্ত পদ্মনাভ? তিনি তো তাঁর পরিচিত শয়ন মুদ্রায় শুয়ে থাকতে পারতেন। রিক্লাইনিং পদ্মনাভ। চুন্দ চুন্দ তুমি কী খাওয়ালে? আহা অমৃত। সুজাতার পরমান্নের পরেই চুন্দের এই শূকরমাংস। না, না আমার জন্যে আমলকী খণ্ড সঞ্চয় করো না আনন্দ। তাঁর দুর্ভাগ্য তাঁর পাশে কোন আনন্দ ছিল না। শেষ খাদ্য পচা গলা শূকর মাংস। শহর জুড়ে পোস্টার, তাঁর হাত রক্ত মাখা। কোন মানুষ যা পরিপাক করতে পারে না। কোন সাধারণ মানুষ। তিনিও পারেননি।
হঠাৎ একজায়গায় দাঁড়িয়ে পড়লেন তিনি। খুব জোর পেচ্ছাপ পেয়েছে। খুবই স্বাভাবিক যে এখানে আলাদা করে কোন সুলভ শৌচালয় নেই। পুরো রাস্তাটাই সুলভ শৌচালয়। আদুড় জীবন। তিনি ওপরদিকে তাকিয়ে এক বুক খোলা রমণীকে বললেন ‘শুশু করা যাবে?’ রমণীটি ঠোঁটের তারে মেলা বহুবর্ণ বাঁধনি শাড়ির মতো হাসি ঝুলিয়ে বলল ‘আরো অনেক কিছু করা যাবে। ওপরে উঠে এসো হে নাগর’ বলে সে আঙ্গুল দিয়ে একটি পথের নির্দেশ দেয়। আর অমনি খাঁচায় ঝোলানো সেই পাখিটি ডেকে ওঠে ‘এসো হে নাগর, এসো’
টিয়া তার এই চিৎকার তপ্ত সীসার মত কর্ণকুহরে ঢেলে দেয় যেন। তাঁর কোন এক পূর্বপুরুষ পুরোহিত দর্পণ লিখেছিলেন, সেই উপার্জনে বহুবছর ধরে তাঁদের সংসারটি ধুঁকতে ধুঁকতে চলেছে সত্যি, কিন্তু এটাও ঠিক, আ-জন্ম না হোক, আ-তারুণ্য মার্ক্সবাদী তিনি, এই সেদিন অব্দি, এই সেদিন অব্দি একটি টলটলায়মান রাজ্যের কর্ণধার, তিনি কিনা ওই অঙ্গুলির সুতো ধরে ধরে একটি অন্ধকার সিঁড়ির কাছে পৌঁছে গেলেন।কি নিঃসীম অন্ধকার সেই সিঁড়ি!পাতালের সিঁড়ি বুঝি এইরকম হয়।কিন্তু এই সিঁড়ি ওপরে উঠছিল আর প্রতিটি ধাপে বাজছিল ‘বিড়ি জ্বলাইলে জিগর সে পিয়া’ ‘ঝান্ডুবাম’ ‘মুন্নি বদনাম হুয়ি’। তিনি, পদ্মনাভ, অনন্তশয়ানে বরাবর, এসব গান কোনদিন শোনেন নি। এমন সিঁড়িও কোনদিন দেখেননি। যেখানে পানের পিক আর গুটখার নিচে নেশা ধরানো রং ঝিমঝিম করে। তবু তিনি দাঁতে দাঁত চেপে যে উঠছিলেন, তার পেছনে নাভির নিচের কোন বিচলন নয়, তাঁর মনে হচ্ছিল এন্তেকালের আগে এই কাজটা করে যেতে হবে। কী কাজ? যে কাজ তিনি বা তাঁর কমরেডরা করতে পারেননি। মানুষের কাছে যাওয়া। যে মানুষ কাস্তে ধরে না, হাতুড়ি ধরে না, কিন্তু পাপী পেটের জন্যে যাদের সারাদিন নানান উঞ্ছবৃত্তি করে যেতে হয়।
সিঁড়িটা একে অন্ধকার, তায় স্যাঁতস্যাতে। যেন সমুদ্র থেকে উঠে এসেছে। হঠাৎ ভেজা ভেজা নরম নরম কীসে পা লাগতে চমকে ওঠেন তিনি। একটা কুকুর কুণ্ডলী পাকিয়ে শুয়ে আছে। চমকে উঠে কুকুরটির উচিত ছিল তাঁর পায়ে কামড়ে দেওয়া। কিন্তু কামড়াল না যখন, বোঝা যায়, সে এসবে অভ্যস্ত। আর একটু উঠে সিঁড়ির চাতাল, সেখানে সামান্য আলো, কিন্তু তা অন্ধকারের চেয়ে বেশি। শুধু যা একটু তরল। সেই তরল অন্ধকারে তিনি দেখলেন দুজন নারী পরস্পরকে আঁকড়ে তীব্র চুম্বন করছে। তাঁর গা যেন কেমন করে উঠল। তাঁকে দেখে দুজনের ছিটকে যাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে তারা চুম্বন প্রক্রিয়াটি চালিয়ে গেল। তিনি এতে আহত হলেন। গালে একটা র‍্যাশ বেরোচ্ছে বলে বেশ কয়েক বছর শেভ করেন না। দাড়িতে মুখ ঢাকা। সাদা দাড়ি, চুলও সাদা। তাতেই কি এই যুগল ভেবে নিল যে তিনি একজন জরাগ্রস্ত বৃদ্ধ, তাঁর সামনে যা খুশি করা যেতে পারে?
একটু থমকে থেকে তিনি আবার উঠতে শুরু করলেন। উঠতে উঠতে তাঁর মনে হল, সত্যিই তো অনেকদিন তিনি কোন নারীকে স্পর্শ করেননি, সরকারি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে করমর্দন বা আলিঙ্গন বাদ দিলে। তাঁর স্ত্রী যদিও কলেজে পড়ায়, কখন যেন সে তাঁর সচিবের দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছে। সবসময় তার কপালে তিনটি ভাঁজ, মুখে একরাশ চিন্তা, সবসময়ই তার কোলে ফাইল, কাঁখে ফাইল, টেবিলে ফাইল। তাকে দেখে মনে হয় সে তাঁর চেয়েও বেশি ব্যস্ত আর বিষণ্ণ। সারা পৃথিবীর চিন্তার বোঝা যেন তার ঘাড়ে। তার নাম অরুণিমা। বহুবছর অরুণিমার সঙ্গে তাঁর রমণ হয় না। কারণ রমণ ব্যাপারটা নাকি খুব নন-ইনটেলেকচুয়াল।
সেক্স তো দূরের কথা, কোন উৎসব অনুষ্ঠানে একটু জড়িয়ে ধরা বা গালে হাল্কা চুমু-তাও হয় না।কারণ উৎসব-অনুষ্ঠানও তাঁদের কাছে খুব নন-ইণ্টেলেকচুয়াল ব্যাপার। তাঁরা তো অনেক বড় বড় কাজ করেন। মানুষের জন্যে ভাবতে গেলে এসব তুচ্ছ ব্যাপারে থাকা চলে না। এমনকি মেয়েকেও কত বছর বুকে জড়িয়ে ধরা হয়নি। সে যেন দ্বিতীয় অরুণিমা। ব্যস্ত, বিষণ্ণ, ক্লান্ত।

সিঁড়ির মাথায় এসে একটু দাঁড়ালেন। হাঁফ ধরে গেল এইটুকুতেই। হঠাৎ কে যেন তাঁকে বলল ‘এসে গেছো?’
তিনি চমকে দেখলেন তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে মুখ মুচকে হাসছে শতরূপা।
তাঁর মাথাটা ঘুরে গেল। শতরূপা বেঁচে আছে! তার তো বেঁচে থাকার কথা নয়। সে পার্টির বড় বেশি অন্দরমহলে ঢুকে এসেছিল, সুব্রত, অনিব্রত এদের সঙ্গে নিত্য ওঠাবসা ছিল তার। বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন মাঝারি অফিসার, তার তো এত বড় মহলে আসার কথাই নয়, তবু মেয়েটা যেন সবার ভেতরে সেঁদিয়ে গেছিল। সুব্রত, অনিব্রত কথা বললে মনে হত শতরূপা ওদের গলায় কথা বলছে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছিল যে এদের কাছে পৌঁছতে গেলে শতরূপার মাধ্যমে পৌঁছতে হত। যেহেতু অনিব্রত শিক্ষা সেলটা দেখত, তাই কার্যত সেটা হয়ে দাঁড়াল শতরূপার টেরিটরি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত শিক্ষক এবং অশিক্ষক পদে নিয়োগ চলত শতরূপার অঙ্গুলিহেলনে। সাড়ে তিন দশকের একটা বেশ বড় ভাগ, তা প্রায় পাঁচ বছর হবে সেটাকে শতরূপা-শাসনকাল বলাই যায়। কিন্তু কী করে সে এতটা প্রভাব বিস্তার করেছিল, সেটা তিনি জানেন না। জানার চেষ্টাও করেননি। খুব জান্তব উপায়ে নিশ্চয়। এইসব নন-ইন্টেলেকচুয়াল মেয়েরা যেভাবে জাল বিছিয়ে থাকে। শরীর, শরীর। শব্দটা ভাবতেও তাঁর ঘেন্না হচ্ছিল। অথচ, সেই শব্দটাই শতরূপা হয়ে তাঁকে ঘিরে ধরল। তিনি দেখলেন শতরূপা তাঁকে টেনে নিয়ে চলেছে একটা আবছা আলোময় ঘরের দিকে, আর তিনিও চলেছেন বিনা প্রতিরোধে। একটু জোরে হাওয়া দিলে যেভাবে শুকনো পাতা উড়ে যায়, সেইভাবে তিনি চলেছেন শতরূপার পেছন পেছন।
ঘরটি খুব ছোট না। সেখানে শতরূপা নিয়ে গিয়েই দরজা বন্ধ করে দেয়। ভয়ে শিরদাঁড়া দিয়ে ঠান্ডা স্রোত খেলে যায় পদ্মনাভর।শতরূপার অন্তর্ধান নিয়ে মিডিয়া কতদিন মেতে ছিল। সেই শতরূপা আর তিনি একটা বন্ধ ঘরে। খুব অদ্ভুতভাবে একটা গান মনে পড়ল ‘হাম তুম এক কামরে মে বন্ধ হো, আর চাবি খো যায়ে’ কী যেন নাম ছিল সিনেমাটার? ববি! বুর্জোয়াদের সিনেমা। তরুণ প্রজন্মকে অধঃপাতে নিয়ে যাওয়ার জন্যে বানানো। কিন্তু এই সিনেমাটা তিনি দেখেছিলেন, দেখতে হয়েছিল তাঁকে। শহীদ কলোনিতে তাঁদের পাশের ঘরে থাকত মিলি, একটু লালচে চুল তার, হাসলে গালে টোল পড়ে, সেই মিলিকে দেখলে বুক কাঁপত তাঁর। সে একদিন দুপুরবেলায় এসে তার গলা জড়িয়ে বলেছিল ‘আমারে একটা বই দেখতে নিয়া যাবা, ও পদাদা? একটা হিন্দি বই?’ মিলির মা বারোমাস বিছানায় পড়া বলে বাড়ির রান্নাবান্না তো বটেই, ঘর মোছা, বাসন মাজা-সব করতে হত ওকে। তেল হলুদ, পেঁয়াজ রসুন, ধুলো, গুঁড়োসাবান-সব ছাপিয়ে ওর নিজের গায়ের গন্ধ পেতেন তিনি। সেই গন্ধটা ভালো না খারাপ বলতে পারবেন না, কিন্তু নাকে এলেই শরীর ঝিমঝিম করত। মিলি গলা জড়িয়ে থাকায় সেই গন্ধটা এত কাছ থেকে পেয়ে শরীর অবশ অবশ লাগছিল, তার ওপর মিলির হাতবোমার মতো বুক দুটো পদার বুকে চেপে বসেছিল, মনে হচ্ছিল এক্ষুনি ও দুটো ফেটে যাবে আর ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে তাঁর শরীর। তিনি অবশ গলায় বলেছিলেন ‘হ্যাঁ যাব’ তারপর বহু কষ্টে টাকা জোগাড় করে কাকে দিয়ে যেন কাটিয়েছিলেন দুটো টিকিট। মিলির জন্যেই তাঁকে অমন একটা বুর্জোয়া সিনেমা দেখতে হয়েছিল। কী নাম ছিল যেন নায়িকার? মনে পড়েছে, ডিম্পল কাবাডিয়া। মিলি ফিসফিস করে বলেছিল ‘জানো তো, ডিম্পল রাজ কাপুর আর নার্গিসের মেয়ে।’ লাল ইস্তাহারে ডুবে থাকা পদ্মনাভর কাছে এই নামদুটো কোন সঙ্কেত নিয়ে আসেনি, কিন্তু তাঁর অবাক লেগেছিল নিজের বাবা মেয়েকে এরকম ছোট ছোট জামা পরাবে? আর মিলি বলেছিল ডিম্পলের বয়স নাকি মোটে চোদ্দ। চোদ্দ বছরের মেয়ের এমন শরীর! মিলি সিনেমাহলে ওঁর হাত নিজের বুকের মধ্যে টেনে নিয়ে বসেছিল। কেমন অবশ অবশ লাগছিল হাতটা। গরিব ঘরের ভালো মন্দ খেতে না পাওয়া মিলির বুক ডিম্পলের মতো না হলেও শরীরের তুলনায় ভরন্ত। তাঁর হাত কেমন ঝিমঝিম করছিল। মিলির গায়ে পেঁয়াজ রসুন নারকেল তেল, হলুদবাটা –সব মিলিয়ে তীব্র একটা গন্ধ। সেই গন্ধটা ধীরে ধীরে তাঁর তলপেট বেয়ে নামছিল। মিলি একটা হাত খুব সহজ ভঙ্গিতে তাঁর উরুর ওপর রেখেছে, শুধু রাখা নয়, সে হাতটা প্যান্টের ওপর ঘষছে। পদ্মনাভর পুরুষাঙ্গ জেগে উঠছে, তার থেকেও বড় চিন্তা তাঁর এই দুটো মোটে প্যান্ট। মিলি যেভাবে ঘষছে, ছিঁড়ে না যায়। তিনি কাতর গলায় বলে উঠলেন ‘মিলি, এরকম করো না, আমার যে পার্টির কাজ আছে’
আজ শতরূপা যখন প্রথমেই তাঁর প্যান্টের জিপার খুলে পুরুষাঙ্গটিতে আলতো করে জিভ বোলাচ্ছিল, তখন নিজের সেই চিৎকার তাঁর গলায় উঠে আসছিল। তিনি সেটা গিলে নিলেন।
(ক্রমশ)

CATEGORIES
TAGS
Share This

COMMENTS

Wordpress (1)
  • comment-avatar
    সুশোভন ভট্টাচার্য 3 years

    আমাদের রাজ্যের(অবশ্য সব রাজ্যেই একটু ররমফের করে একই অবস্থা) সামাজিক রাজনৈতিক শৈক্ষিক এবং নীতিগত অবনতি এবং চূড়ান্ত অধঃপতনের চিত্র যে ভাবে স্তরে স্তরে উদঘাটন করছেন তা অনবদ্য এবং অভূতপূর্ব। আপনার সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করি।

  • demon slauer rule 34 lena the plug leak amateurtrheesome.com cumming in milfs mouth mujer haciendo el amor a un hombre, belle delphine of leaked emma watson in porn xxxamat.com big booty in public hidden cam gay sex, sit on face porn g a y f o r i t forcedpornanal.com please screw my wife female celebrity sex tapes