শুভব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা
পদাতিক
দেড়
ওয়ান অ্যান্ড হাফ…
কফিতে চিনি মেশাতে মেশাতে
প্রশ্নচিহ্নের বিপ্লবীর মতো
একা বসে থাকো
আদিম কফি হাউসে
চেনা মুখ সন্ধের আলোয়
খোঁজে তোমাকে
চোখের জাদুতে চামচ বেঁকে যাওয়ার
রহস্যভেদে তুমি আর জীবন মাপার
চেষ্টা করো না
এখন
ভিড়ে মিশে যেতে-যেতে
সাধারণ মানুষের জন্য সাজানো
ফ্যানফেয়ারের অপেক্ষা
কমন্স্
কফির পেয়ালা
হলুদ বেড়াল
ফেরার পথে কেবল
ফেরার চিহ্ন আর
থেমে-যাওয়া ঘড়ির গান
আসবাব কিংবা খুনোখুনির কবিতা
শব্দগুলো এক-একসময়ে
এমন খেপে থাকে
বুঝতে পারি খুন করতেও
তাদের কোনও অক্ষর কাঁপবে না
কোনও মতে আটকে রাখি তাদের
ওইসব যতিচিহ্ন দিয়ে
‘পোটেনশিয়াল থ্রেট’— বুঝলে
তাড়াতাড়ি বসিয়ে দিই দাঁড়ি।
উত্তেজনা কিছুটা সামাল দিতে
হাত জোড় করে বলি— কমা, কমা…
কোনও ব্যাখ্যার তোয়াক্কা না করে
রাস্তা আটকে দিই কোলন-এ:
তারপর দৌড় দৌড় দৌড়
নীল ম্যানুয়াল থেকে অ-প্রমেয় প্রুফ-এর দিকে
গারদ আর কান্নার মাঝে
দস্তানা আর মুছে-ফেলা রক্তের মাঝে
সংগীত আর আন্ডারগ্রাউন্ডের মাঝে
হাহাকার করে সেমিকোলন
এইভাবে, এইভাবে কোনওমতে বেঁচে আছি
যদি অন্তত এভাবেও শব্দের ভিতরে থাকা যায়
ঘর
ব্যথিত গৃহের গন্ধ থেকে
কুড়িয়ে নেওয়া—
গ্রুপ-ফোটোগ্রাফ
লাল বৃষ্টির শীতসন্ধে জানে
আর্কেইক শব্দের ভিতর
কীভাবে বেঁচে থাকে
মুখ-ফিরিয়ে-নেওয়া ক্লান্ত চশমা
হয়তো তার ঠোঁটে
প্রাচীন ভাস্কর্যের মতো স্থির সিগারেট
ভবিষ্যতের অক্ষরে ভাসিয়ে দিচ্ছে ধোঁয়া
ক্রিস্টাল-বৃত্ত খুঁজে যায়
চেনা মুখ
অচেনা সমুদ্রের হাওয়া—
বাঁ দিক থেকে তৃতীয়
প্রথম সারিতে পঞ্চম
অথবা
যে-ক্যামেরা ছুঁয়ে থাকে
মৃত গাছের অনন্ত গোপন স্মৃতি…
সেইখানে
ন্যস্ত
আলগোছে
গ্রুপ-ফোটোগ্রাফ
ঘর কবিতাটা খুব ভালো লাগল। বাকিগুলিও ভালোই। কিন্তু ঘর কবিতার মধ্যে বেশ কিছু চমক খুঁজে পেলাম। কবিকে শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধা।
তিনটি কবিতাই অসাধারণ লেগেছে।
শুভদার কবিতায় একটা নতুন বার্তা, নতুন আবেদন সবসময়ই থাকে। এগুলো বাংলাসাহিত্যের সম্পদ।