নন্দিনী সঞ্চারীর কবিতা
দলিত
আমার শৈশবের প্রান্তে দেখি আমগাছ
অনাঘ্রাত কিশোরী মুকুল আর কুয়াশার ভুল
পতন্মোমুখ জাজিম বিছিয়েছে।
সাজি নিয়ে বসে থাকি আমি
হাত রেখে গেছে প্রৌঢ়া বিকেল
লালচে দিনের শেষে ঘরে এসে
প্রত্যহ ক্ষমা চাও।
শীতরাত্রি পর খুঁজে চলি সেই ফুল
সাজিভরে। অথচ কী আশ্চর্য!
সেইসব ভোরে বীথিবৃক্ষতলে
আমার কৈশোর দ’লে আনাড়ি
উদ্বৃত্ত বালি ফেলে যায় কংক্রিট মিক্সিং গাড়ি।
যুদ্ধের মতো দিন ও প্রেমিক
যুদ্ধের মতো দিন, তারার আলো গুণে গুণে ক্ষয়হীন
আর সেই হাত, প্রতিটি ভিড়ে শক্ত করেছে মুঠো
আমার কবজির সংঘাত
ছুটে যাই এলোমেলো, নিশ্চিন্ত
প্রতিটি ভিড়বনে চিনে নিয়ে ঘাতক
প্রেমিকাশাবকে বুক পেতে দিলে পালকেই…
এমনও হয় ! এমনও কি সুখচারী ভয়
গ্রস্ত করেছে মন ! তোমার হাতের ভিতর লুকোনো ওম
রসদ। রসদই তো প্রেম হয়ে নামে
সৈনিক সংগ্রামে।