সরিৎ দত্ত -র কবিতা
হলুদ বিষাদভূমি অথবা বৃষ্টিমঙ্গল
যশোধরা
তথাগত , ধ্যানের গভীরে
আমাকে প্রকৃত প্রতীতির কাছে নিয়ে চলো
এই যে বিস্তৃত মাটি , জল , এই স্থিত ধী ۔۔۔
এইসব মিশে আছে অস্তি
তথাগত , নিষিদ্ধ আকাশের কাছে
আমিও পৌঁছতে চাই , যাবো ۔۔۔
জনা
আমি তো আলোকপ্রতীতি চেয়েছি প্রভু
গৃহ , আর প্লুত স্নেহডাক
নীলাভ প্রদীপের মতো সন্তানের মুখ
দু চোখে বিস্তৃত শস্যক্ষেত , সে আমার ۔۔۔
তোমাকে চিনিনা আমি , ছায়াজীবি
মৃত্যু , প্রিয় গাঢ়তা , সে আমার আলো
বিষ্ণুপ্রিয়া
শরীরে রাধিকাচিহ্ন নিয়ে
সন্ধ্যার নদীস্নানে রোজ ভাসিয়ে দিয়েছি শরীরের ছায়া
দুপুরের শুন্য উঠোন জানে
অপেক্ষা দীর্ঘতর হলে
আশরীর ভিজে যায় রাধাবৃষ্টিজলে
ভালোবাসা বন্যগামী জেনে আমাকে উঁচুতে রাখো ,
কেন গোরা ? আমাকে ভেজাও ۔۔۔
যশোদা
রাজবেশ অসহ্য লাগলো , প্রিয় ,
আমারও তো , বড় ভার লাগে এই গহনা , বসন ۔۔۔
আমার আকাশে কেন নিষেধমুদ্রা রাখো ? নারী বলে ?
এই যে সূর্যের পোশাক রেখেছো দেহে , প্রিয় ,
আমিও আতুর , আমিও মুক্তির কথা ভাবি , আকাশের ,
কতটা তপস্যা জানো ? ধ্যান প্রেমহীন হলে
মুক্তি ও ঈশ্বর দূরে থাকে | প্রিয় , এসো , ভাসি ۔۔۔
সুলাক্ষণি
ভালো আছো , বিষাদনগরে ? থাকো , মানুষকে ছুঁয়ে
আমি আছি , ঘর , একাকীত্ব আর দীর্ঘরাত ۔۔۔
শুনেছি , এখন তুমি কৃষিজীবী , তোমার শরীরে ঘাম
সোনা হয়ে জ্বলে , সূর্যের মতো , ভালোবাসা হয়ে ঝরে
বিষাদবৃষ্টিতে ভিজি , রোজ , তুমি তো সব দাও প্রভু ,
একদিন আকাশ দেখাবে ?
বড়ো ভার লাগে এই বৈশ্বিক মা ডাক ۔۔۔
লেখাটি যদি ভালো লাগে, আবহমানে নিজের ইচ্ছেমতো ফোন পের মাধ্যমে
অবদান রাখতে পারেন, এই কিউ আর কোড স্ক্যান করে। ফোন পে করুন 9051781537
অথবা স্ক্যান করুন পেমেন্টের লিংক