শুভম চক্রবর্তী -র কবিতা
লেখা
আসো, ছেড়ে যাও।
ব্যাকুল দু-হাত মেলে তোমাদের জড়াতে চেয়েছি।
আলতো হাওয়ায় দোলে উঠোনের শিউলির গাছ।
অন্ধকার থেকে ফিরে আলোর সঙ্গে মিশে গিয়ে
পুনরায় অন্ধকারে প্রকাশিত হয়ে অবশেষে
আলোর দিকেই হেঁটে অনিঃশেষ অন্ধকারটুকু
তোমরা আস্বাদ করো, আলোকালোভেদাহীন।
আসো, ছেড়ে যাও।
প্রজ্ঞা-প্রগতির দিকে, থেমে থাকা দুপুরের দিকে
অলস উদাস ভাবে মুখোমুখি রাংতা জড়িয়ে
কত কী বলার থাকে, বলার ওপারে কত বলা
নাভিশ্বাস তুলে তুলে ফুরিয়ে যাওয়ার কথা ভাবে
কারণ ভাবনার গায়ে ভাষাহীন অর্থহীন এমন প্রশ্বর ঝরে পড়ে।
মানবভাষার বাইরে বিভাষার চোরা আহ্বান।
দশদিশি সকাম উজ্জ্বল ফুল ফোটে, অন্ধকারে, ব্রহ্মাণ্ড ফাটিয়ে গায় :
ব্রহ্ম চীয়তে। গান। খুচরো ব্যথা। তোমার আসনখানি টলোমলো অন্ধকারে, রবীন্দ্রগানের সোঁদা সাঁকোর ভেতরে।
দাবি
সন্ধ্যার আগেই ঘরে ফিরে এসে দেখি
মাঠ, ঘাট এমনকি আঘাটারও অনন্ত ছাতারে
তারার তমস লেগে দপদপ করে জ্বলে ওঠে
পুনরায় জিজ্ঞাসার দিকে যায় দিক ও দর্শন
তার ভেতরের ঘরে কিছু উবুরছান্তি সোঁদা ঘুম
কিছু অকারণ জেগে ওঠা, কাঁপা-কাঁপি, কানের ভেতরে
এই অনুভব, অনুভব করি
বুঝি, তোমরা করো না
তোমরা নিরাসক্ত বিবেচনা করেছ নিজেই নিজেদের
ফলে দূরে তারা ফোটে, তার আলো লাগে তোমাদের ফুলে
কাগ ও বগের বাসা ঘিরে থাকে অর্বাচীন দিনের ওজন
কিছু ভালোবাসা ! ততোধিক দাবি আর কোনোখানে নেই !