
বেবী সাউ-এর কবিতা
এই নাও সন্ধ্যাদীপ
দেখা হোক
অথচ, আসার কথা
বহুবার হয়ে গেছে
ক’টা ট্রেন ফিরে যায়
কখন ঝিমোয় এই কনের রোদ্দুর
বহুবার হিসেবের খাতে
মৃত ভেবে, পুরনো গুমোট ভেবে
এসব আসার কথা
জলকাচা করে, অবসর…
মেলে দিচ্ছ
সন্ধের দালানে
অন্ন
হেরে যাওয়া সোজা হয় আরও
দয়ার শরীর জেনে
করুণানিধির
সামান্য ভাতের ঘরে
দেখা হয় রোজ
চালচুলোহীন ভেবে
ছায়ার প্রত্যয়
ফেরাতে পারে না সেও
খাদক
পাখিরা প্রত্যহ ধার করে নিয়ে যায় গান
বিকেলে ফেরানো জেনে
নদী ভেঙে, বন ভেঙে
ঘুরপথে সার্কাসের মেয়ে
নখ ভাঙে
ভাবে, ফেরা আছে জেনে
সময় তো জেগে থাকে
ছদ্মবেশে
শিকারী বাঘের মতো
মুখোস
বলো বলো, এভাবে অপরিচিত হলে বা কীভাবে?
সামান্য কড়ির ঘরে
সামান্য তেল-নুনের ঘরে
ঘুম এসে বসে
স্বপ্ন আসে
দেখি, অযুত ভীড়ের দিকে চেয়ে আছো তুমি…
যাকে আমি চিনি নি কখনও
বিবাহ
এই ধারদেনার সংসারে তুমি এলে!
এই ধারদেনার দুয়ারে তুমি এলে?
এখানে বসন্ত ফুটো হয়ে জল পড়ে
সামান্য রোদের আভাসেও মনেহয় বিষন্ন আলেয়া
সেই আলেয়ার ধারে বসে থাকা
ভিনসেণ্ট স্মিথ
তাকে কেউ কখনও সংসার শেখায়নি
কনে
সাবেক আদল ভেঙে
অভিমানী, ঝরে গেছে ধানের শরীর থেকে
অথচ, এখনও জল আছে
আগুনের খেলা আছে
জ্বলজ্বলে…
শিকারীর…
অথচ, নৌকোবাইচ ভেবে
ধূসর দোয়েল
ঝরে যায় ধানের শরীর থেকে