
বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়-এর কবিতা
তোমার বিরল চিঠি
উৎসর্গ: মণি দা
জন্মদিনের কবিতা
রাত তিনটেয় উঠে দেখি
মশারির ডান কোণে তিনটি জোনাকি বসে আছে।
ভার্চুয়াল বিতর্কসভায়,কাল কথা হল বিকেল বেলায়।
অনর্গল কথা আর মতভেদ
নিরুত্তর তাম্বুলতর্পণ..
মুখোশ পরাই ছিল,গুহামানবের মতো
মুখোমুখি কথা তো হবে না।
সঙ্কেত অচেনা।
‘ প্রথম স্তবক থেকে তিন পঙক্তি কেটে দাও
এক পঙক্তি রাখো’
ও তিন পঙক্তিতে শুধু চশমা ঢাকা
ক্লান্ত দুটি পর্ণমোচী প্রতিহার আছে।
ও তিন পঙক্তিতে তুমি কামনা করেছ অশ্বমেধ..
একটি মাত্র পঙক্তি রাখো
যেখানে তোমার, অর্ধেক শতাব্দী জুড়ে,মন্বন্তরে,বিজন বৃষ্টির কথা আছে।
আমার চিঠির বাক্সে, আমন্ত্রণ সহ
তোমার বিরল চিঠি আছে।
২৫শে বৈশাখ সংখ্যা
বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়
তোমার মুদ্রিত সংখ্যা বারবার রক্তাক্ত করেছে
মানব বোমার মতো, পড়ে আমি ফিদা হয়ে গেছি
যখন ডেকেছ দ্রুত ছুটে গেছি অভিকর্ষহীন
অথচ তোমার রক্ষী বলে তুমি সমুদ্র সফরে।
দেখেছি অরণ্য থেকে ফিরে আরো হয়েছ কোমল
সমুদ্র স্নানের পর ক্লান্ত দুটি লবণাক্ত চোখ
এক চোখে প্রতিহিংসা অন্য চোখে ভীরু অশ্রুজল
মনে মনে প্রশ্ন করি,বাদ গেল কেন দিবাকর?
‘ছোঁয়া মাত্র অন্ধ হবি’ বৃক্ষ থেকে দাঁড়কাক বলে
ছলনা প্রেমের বর্ম যদিও তা অধুনা অচল।
‘আগামী সংখ্যার জন্য লেখা দিন-২৫শে বৈশাখ’
জীবনানন্দের পর ধানসিঁড়ি নদী ও সফল!
তোমাকে দেখিনি আর দারাভিতে,ভীত অযোধ্যায়
জানি তুমি শুয়ে আছ অভিশপ্ত পাঁচের পাতায়
Bah