বিবস্বান-এর কবিতাগুচ্ছ
সপ্ত অহ লিপি
১
অভিযান করতে গিয়ে দেখা হয়েছিল
অথচ যে খুব অভিযানপ্রিয় তা তো নই
নিকানো মাটির দাওয়া খড়ি-আলপনা
শাকভাত রান্না করে বসে আছি চেয়ে
অসময়ে, অভিযান শেষ করে যদি
ফিরে আসে, যেন দুটো বেড়ে দিতে পারি।
২
এ জন্ম পুরুষদেহ বিশল্যকরণী
শোকে তার অশ্রু নেই
দুর্যোগেও ভয় নেই
রেঁধে রেখে দেওয়া কোনও বাধ্যতাও নেই
থাকতে পারে? সেই কথা প্রকাশিত হলে
কেউ যেন কেড়ে নিত শুশ্রূষার ভার,
জ্যোৎস্নাগাছ? শক্তিশেল বিদ্ধ হওয়া বুক?
৩
পাঁচ ফোরণের গন্ধ এক হাতে রেখে
অন্য হাতে ঢেলে দিই দুঃখশাক দুটো
রান্নাঘরে স্মৃতিলতা তরতর করে
৪
অন্নের সে ভাপ নিই, সুগন্ধখানি
বড়ো সাধারণ। কোনও উত্তেজনা নেই
বিলাবল চালিয়ে কে স্নান করতে গেছে
ফিরে এসে ফ্যানা ভাত, ঘৃতস্নেহ রোদ
এইমত গেহ যদি একঘেয়ে লাগে?
অভিযানপ্রবণ ও রাস্তার বাঁক!
ভয় হয়, ক্ষয় হয় হীনমন্য ঘর
শান্তি ছাড়া তার কিছু যে সঞ্চয় নেই!
৫
রোজকার বিছানা হই
অন্ধকার ঘর
বড়ো ছোটাছুটি করে অস্থিরমতি
শান্ত হতে যদি আসে সে লক্ষ্মীচঞ্চলা?
৬
যার কথা হচ্ছে তার মনখানি দাওয়া
সেইখানে রৌদ্রশিশু খেলাধুলা করে
পৃথিবীও এসে বসে সে শীতলপাটি-
হয়ে সব রুক্ষতায় জলছাপ দেয়
আমিও সামান্য হই, আবছা হয়ে থাকি
ঠিক তার চোখে পড়ে দুঃখকল্পলতা
সামারোহ থেকে উঠে পাশে এসে বসে
৭
সমস্তটা সে-ই বোঝে আর তারপরে
যেইটুকু নদী থাকে, যেইটুকু রাত
সেইখানে ধুনি জ্বেলে অনন্ত সাধক
বীজমন্ত্রে সংসারের আরাধনা করে
বিবস্বান-এর কবিতাগুচ্ছ ভালো লাগলো
বিবস্বান এর কবিতাগুচ্ছ বড়ো মায়াময় ঘ্রাণের তরণী বেয়ে চলে। বীজমন্ত্র আরাধনায় সত্যিই সফল।