পৃথা চট্টোপাধ্যায়-এর কবিতা

পৃথা চট্টোপাধ্যায়-এর কবিতা

ময়ূর সঙ্গম 
তাকাতে পারি না ওই চোখে
কেন এত ব্যতিক্রমী আঁকা
মুগ্ধতার কিছু অবশেষ
এখনো কি বাকি ছিল তবে
কী দ্যাখো অমন করে চুপ
ময়ৃর সঙ্গম যেন তোমার নজর
জ্বলে যায় দেহ
ছারখার করে দিলে কেতকীর বন
কী এমন দোষ বলো
চোখে চোখ পড়েছিল
তখন শ্রাবণ
রাই তনু শিহরিত
যেন কবেকার অপেক্ষার নবীন কিশোর
শিখিপাখা, ধরাচূড়া কিছু নেই
অনেক ভেবেছি একা,
কী আছে এমন
কেন বারবার মন টানে, এত জলটান জাগে
দুই চোখে গাছ-রস পান করি
অমন আঙুলে ছুঁয়ে দিলে
কী দোষ আমার বলো
নীরবতা তাও যেন মর্ম ভেদ করে
ঐ চোখে আর না তাকিও
আমারও তো বশে নাই দেহ মন
আজানা নদীর পার ধরে
হেঁটে যাই অকারণ
কতবার পালাতে চেয়েছি
তবু আশ্চর্য বুনন চোখে
নিভৃত তাকানো দগ্ধবান
পুড়ে গেছে বারবার
ঘুচে গেছে কাজলের অহঙ্কার
ভয় হয়
ঐ বুঝি পুড়ে গেল ঘর কার
ময়ূর আপন মনে থাকে
দেখে শুধু ময়ূরীর পেখম বাহার
আকাশের মেঘ তাকে ডাকে
গাছে গাছে জোনাকির শ্লোক
এমন শ্রাবণ দিন কবে আসে আর
এ জীবন অন্তহীন সংসার ময়ূর অপেক্ষার
CATEGORIES
Share This

COMMENTS

Wordpress (0)