
দেবযানী বন্দ্যোপাধ্যায়-এর কবিতা
১.
আমি আর মোহমায়া
___________________
আমি যেমন, আমি ঠিক তেমনি, ঘোর, অন্ধকারে বুনন, মেলা এক নাগাড়ে, তুমি বললে আমি ভালো হয়ে যাই না, সময় বিশেষে আমি একগুঁয়ে অর্বাচীন। ভুল পড়িয়ো না, ভালো ব্যবহার করছি বলে ভেবো না তোমার আধিপত্য আমি স্বীকার করেছি। খেলা আমার পছন্দ না, আমার সঙ্গে হাঁটতে আমার প্রেমিক চারটে নদী পেরিয়ে ছিল, আর আমি তার কাছে যাবো বলে ঢুকেছিলাম জঙ্গলে। আমি এক নাগাড়ে অন্ধ, আমার কোন শ্রমিক লাগে না। বর্ষা আসে নদী বাধা ভাঙে। সাপ শীত ঘুমে ঢোকে, খোলোস ছাড়ায়। এই সব কেই আমি জীবন বলে জানি। আর খিস্তিকে আমার শূন্যতাবোধ ধারণ করে না। আমি কিছুতেই সহজ নই ,তবে জঙ্গলের মতো ভালো। আর আমি জানি কারা নরম মন নিয়ে ঘোরে। জানি কারা বেমালুম চব্ব করে না।
২.
জাগ্রত
_______
এ বেলা যেওনা।
বসে থাকো জানালার বৃষ্টির ধারে।
শব্দ শোনা যায়-
জেগে উঠছে বৃষ্টির শব্দ
আকাশের রঙ বিকেলের দিকে যায়
আজ গাঢ় নীল রঙে আক্রান্ত হলো আকাশ।
বৃষ্টির শব্দ জেগে উঠলো জানালায়,
কাঁচে।
____________
৩.
সেপ্টম্বর
_________
ভাবিনি কুহক
এ নয় স্মৃতি কথাবলি ,
এ সব নিরাময় দিনে
অতলান্ত ছোঁয়া বিষণ্ণতার আভাস না আভাসে
ছিল রক্তিম কাল , বিকেল
আলো থাকে , অন্তর বাহির করে
আনাগোনা স্রোতের শামিল এ শহরে
হৃদয় নির্নিমেষ ছন্দে বয়ে
সেপ্টেম্বর এলো।
গতকাল রাতের ঘুমের সময়
অজানা শরতের কাছে
গেলো
আজ তার নীরব বুনন চলেছে ।
লেকের কাছে বৃক্ষ প্রাচীন বল্কল
বৃক্ষের প্রাচীন স্থিতি ,
সবুজ এ বিরাট ভাষ্য
নীরব
দাঁড়িয়ে থেকেছে। সেই বহু শীত জুড়ে –
আজ ও
সেপ্টেম্বরে।
রুদ্রাণীর গল্প শুরু হলো বলে
রুদ্রাণী আসন্ন শীতের রোদের কাছে যাবে
জীবন অভঙ্গুর সময়ের দিকে নীরবে এগোয়
আজ এই সেপ্টেম্বরে ।