কস্তুরী সেন-এর কবিতা
বিচ্ছেদ
‘যেখানে আপনি বসে, ঠিক সেখানেই’…বসে তোমরা যা যা বলেছিলে
তোমার কবিতাসখা সেই কথা আমাকে শোনান
মনে মনে গা বাঁচাই, চুক্তিভঙ্গ সভয়ে এড়াই
মুখেচোখে ফুটে উঠল কবে এল কারা ছিল সঙ্গে?
নাকি কেউ?
পরাজয় অসম্ভব,
অসম্ভব মনে মনে ধরা পড়ে যাওয়া
বহুজন্ম পার করে শুধু, উঠে আসামাত্র সেই একবিন্দু স্পর্শদোষবশে
আজ আবার
নতুন কবিতাঘৃতে দাউদাউ জ্বলে উঠল প্রাণ
কবচ
সন্দেহ অতুল দ্বন্দ্ব
স্থান করে নেবেই দুহাতে
কে গো ম্লান ঘূর্ণিঢেউ
কার হাত সুগোপনে
আবিরে রাঙানো…
সমস্ত অপরামুখে একমাত্র যাকে খোঁজা
তারও দ্যাখা পেলে
ছেড়ে দিয়ে যাওয়া সাজে দেখে রাখে যেন,
যেন রোদে যেন জলে
পুরনো বৃক্ষের মূলে
যার হোক প্রার্থনার পয় —
তোমার ক্ষয়ের পাশে সন্ধ্যা হয়ে আসে ক্রমে,
ক্রমে সন্ধ্যা হয়
সুতহিবুক
সন্ধ্যাকাশ হেরে যাবে, পারবে না ক্যানভাসে
অলৌকিক দালির আঁচড়ে
স্টেশন পারেনি কবে সাইকেল রেখে কেউ
শেষ ট্রেন অবধি দেখে ফিরে গেল,
জেনে নিতে তার গতি
ছোটগল্প পারে
কানে বাজে ‘অন্নধ্বংস’
পিছু পিছু শাপ যায়
‘মরুক মরুক’…
গান বেজে ওঠামাত্র
অনাথের নাথ হল তেমনও কাঙাল
পারিনি আমিও, তবু রাত্রি বাড়ে
দ্যাখো খুব মনে মনে
আগল খোলার শব্দে ঝটিতি আসন পাতি,
লেখার হাঁড়িতে ফেলি দুটি মুঠো ‘এত দেরি?’ চাল
তিনটেই ভালো লেগেছে। কবচ-টা সব থেকে বেশি তীব্র।
আপনার কবিতা খুব ভালো লাগলো। আজকাল তো ভালো লেখা পাওয়াই যায় না প্রায়…