অনুপ সেনগুপ্ত-র কবিতা
যে অমরতা আত্মহত্যাপ্রবণ
একটি সরলরৈখিক জীবন
আতঙ্কে কুণ্ডলী পাকিয়ে যখন বৃত্ত
তার কেন্দ্র তখন অথৈ কুয়ো
এই মৃত্যু ঘিরেই অনবরত পাক খায় সে
আর মাঝে-মাঝে মৃত্যুর অমোঘ টানে
লাফ দেয় কুয়োয়
সময়
সময় সময়ায়িত হতে যতটুকু সময় লাগে
নিজের আলোয় দাঁড়িয়ে তুমি
মেলে দিলে এক পথ
আর তা চলে যাচ্ছে অগন্তব্যে
এই পথ ধরেই কোনও মন্দির থেকে
পালিয়ে গেল দেবতা
সেই অনুপস্থিতির বীজ হয়ে উঠছে গাছ
আর আমাদের অনির্ণেয় দূরত্ব থেকেই
স্পর্শ করছি তোমাকে
ক্রমশ
দিনের শিখরে পৌঁছে কেউ দ্যাখে
বাতাসের চুল আঁচড়ে দিচ্ছে কোনও গাছ
কিন্তু একদিন সে নিজেই দিন হয়ে যায়
তখন প্রতিটি দিনের হাত ধরে
সে পাশাপাশি হাঁটে
রাত যত বাড়ে
তার রাস্তার একাকিত্ব ক্রমশ দীর্ঘায়িত হয়
হ্যাঁনালেকটিক্স
হ্যাঁ ও না-এর এক চিলতে দূরত্বে যে অসংখ্য অদৃশ্য হ্যাঁ-না-দেবশিশু হামাগুড়ি দিচ্ছে তাদের কেউ-কেউ তোমার হাতে ছেঁড়া বোতামের মতো জাগ্রত হলে কিংবা মাটিতে পড়ে গড়াগড়ি খেলে তাকে অতিযত্নে আকাঙ্ক্ষায় মুড়িয়ে ড্রয়ারে রেখে দাও কখনও জীবন বা জগতের প্রশ্নের উত্তরে সেলাই করে নেবে বলে যদিও একা থাকলে কোনও হ্যাঁ একসময় না হয়ে উঠতে পারে বা না হয়ে ওঠে হ্যাঁ কখনোবা হ্যাঁ ও না মিলেমিশে কিছুটা হ্যাঁ কিছুটা না কিংবা প্রথম থেকেই না-এর ছদ্মবেশে হ্যাঁ বা হ্যাঁ-এর ছদ্মবেশে না
হয়তো তুমিও অন্ধকারে একইসঙ্গে আকাশ ও তারা হতে গিয়ে কিছুটা স্থানকাল মুছে ফেলে ভাবো এই শূন্যতায় লাফ দেওয়া যায় কিনা